Posts

Showing posts from May, 2020

কোণযুক্ত চাহিদা রেখা কাকে বলে? || কিংকী চাহিদা রেখা কি? || কোণযুক্ত চাহিদা রেখা অংকন কর? (What is Kinked demand curve)?

Image
কোণযুক্ত চাহিদা রেখা কাকে বলে|| কিংকী চাহিদা রেখা কি|| কোণযুক্ত চাহিদা রেখা অংকন কর(What is Kinked demand curve):    কোণযুক্ত চাহিদা   রেখা বা  কিংকী চাহিদা রেখা:  অলিগােপলী বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলাে , এ বাজারে চাহিদার পরিবর্তন বা উৎপাদন ব্যয়ের পরিবর্তন ঘটলেও দামের কোন পরিবর্তন হয় না । যা কোণযুক্ত চাহিদা রেখার সাহায্যে বিশ্লেষণ করা হয়েছে । কোন ফার্ম যদি প্রচলিত দাম অপেক্ষা বেশী দাম ধার্য করে তাহলে প্রতিযােগী ফার্মগুলাে বাজার দখলের জন্য দ্রব্যের দাম বাড়ায় না ।    অলিগােপলিতে দামের অনমনীয়তা লক্ষণীয় । দামের অনমনীয়তা সম্পর্কে গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় কোণ ফাঁসযুক্ত চাহিদা রেখা অর্থাৎ কিংকী চাহিদা রেখার প্রকৃতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে।  এ বিশ্লেষণে অবদান রাখেন পি , এম , সুইজি , আর , জ , হল , এবং সি.জে. হিচ। তাদের মতে অলিগােপলিতে যে দাম   নির্ধারিত হয় , তা অপরিবর্তনীয় ।  নির্ধারিত চলতি দামে অলিগােপলির চাহিদা রেখার মধ্যে কোণ বা ফাঁস সৃষ্টি হয় । নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চাহিদা রেখার উপরের দিকে যে অংশ থাকে সেই অংশের  স্থিতিস্থাপকতা বেশি । নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দাম

সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা কি? || সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা বলতে কী বুঝ? || সাধু রীতি ও চলিত রীতি কাকে বলে? উদাহরণসহ আলোচনা করো?

সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা কি || সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা বলতে কী বুঝ || সাধু  রীতি ও চলিত রীতি কাকে বলে? উদাহরণসহ আলোচনা করো:

পানি, অগ্নি , আনন্দ , খ্যাতি এর সমার্থক শব্দ কি কি? || পানি, অগ্নি , আনন্দ , খ্যাতি এর প্রতিশব্দ শব্দ কি কি ?

পানি, অগ্নি , আনন্দ , খ্যাতি এর সমার্থক শব্দ কি কি || পানি, অগ্নি , আনন্দ , খ্যাতি এর প্রতিশব্দ শব্দ কি কি :                  প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ এখানে মোট ১৭টি, পানি শব্দটির সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে।          পানি এর সমার্থক বা প্রতিশব্দ জল  পুষ্কর   জীবন  উদক  বারি  পানীয়  অপ্  তোয়  সলিল  অম্বু  নীর  প্রাণদ  উদ  ইরা  পুষ্কর  ইলা  পয়ঃ       এখানে মোট ২৩টি, অগ্নি শব্দটির সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে।           অগ্নি এর সমার্থক বা প্রতিশব্দ   অনল  আগুন  দহন  সর্বভূক  শিখা  কৃশানু  বিভাবসু  সর্বশুচি  জ্বালানি  শিখা  তেজ  বায়ুসখা  বৈশ্বানর  জ্বলন  জ্বলন  হুতভুক পিঙ্গল  বিশ্বপা  শিখাবৎ  হিমারাতি  অনিলসখ  সপ্তাংশু  হবিরশন   এখানে মোট ১৬টি, আনন্দ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে।         আনন্দ এর সমার্থক বা প্রতিশব্দ      হাসি      সুখ     খুশি  মজা       হর্ষ  প্রমোদ  পুলক  স্ফূতর্ত    সন্তোষ  পরিতোষ  প্রসন্নতা  আমোদ     প্রমোদ   উল্লাস    তুষ্টি  হাসিখুশি এখানে মোট ১৬টি, খ্যাতি শব্দটির সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে।        খ্যাতি এর স

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে? || রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? (What is Political Science?)

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে||রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী ||রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়||রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও(What is Political Science): রাষ্ট্র বিজ্ঞান(Political Science): যে বিজ্ঞান রাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলি ও জনগনের আধিকার নিয়ে আলোচনা করে তাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বলে। শব্দগত অর্থে:   রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছ 'Political Science' ৷ এটি এসেছে গ্রিক শব্দ Polis থেকে ৷ যার অর্থ হল 'নগর' ৷ প্রাচীন গ্রিস ও রোমে প্রতিটি নগরকে এক একটি রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হতো ৷  তাই শাব্দিক অর্থে আমরা বলতে পারি যে; নগররাষ্ট্র সম্পর্কে এবং নগররাষ্ট্রের যাবতীয় সমস্যা ও সমাধান নিয়ে যে শাস্ত্রে আলোচনা হয় তাকেই বলা হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৷       আধুনিক অর্থে: বর্তমানে রাষ্ট্র বলতে নগররাষ্ট্রকে বুঝায় না ৷ সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে রাষ্ট্রের সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন এসেছে ৷ পূর্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে বুঝাত সে শাস্ত্রকে; যে শাস্ত্র মানুষের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করত ৷ কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে সমাজবিজ্ঞানের সে শাখাকে বুঝায়; যে শাখায় মানু

স্বপ্নের পদ্মা সেতু || পদ্মা সেতুর জাতীয় ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব || অপার সম্ভাবনার পদ্মা সেতু || বাংলা রচনা "পদ্মা বহুমুখী সেতু"

স্বপ্নের পদ্মা সেতু ||পদ্মা সেতুর জাতীয় ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব || অপার সম্ভাবনার পদ্মা সেতু।। বাংলা রচনা "পদ্মা বহুমুখী সেতু": "স্বপ্নের পদ্মা সেতু" ১।ভূমিকাঃ পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু।   এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সাথে  শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। তথ্য অনুযায়ী  সেতুটির নির্মাণ শুরু ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মূল সেতুর ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে ২০২১ সাল নাগাদ ।সরকারের পরিকল্পনামাফিক এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা । ২।পদ্মা সেতুঃ পদ্মা সেতু দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মার উপর প্রস্তাবিত একটি বহুমুখী সেতু। এটা দেশের বৃহত্তম প্রকল্প এবং নির্মাণপরবর্তী সময়ে এটা হবে দেশের সর্ববৃহৎ সেতু। উত্তর দ

পাহাড়ের প্রতিশব্দ কি কি ?

পাহাড়ের প্রতিশব্দ: পাহাড়: পাহাড় বিশেষ্য পদ বিভিন্ন ধরনের শিলার সমন্বয়ে গঠিত ঢাল বিশিষ্ট উঁচু স্থান (noun) mountain; hill; rock; upland; tor; dune; berg; mount; Fell;  পাহাড়ের প্রতিশব্দ: এখানে মোট ৩১টি , পর্বত শব্দটির সমার্থক শব্দ পাহাড়ের প্রতিশব্দ  প্রতিশব্দ  প্রতিশব্দ  প্রতিশব্দ  প্রতিশব্দ  মহীধর  গোত্র  শৃঙ্গী  শৃঙ্গধর চূড়া অটল  পাড়  অটল অচল  নগ  ভূধর  শিখরী অগ  ক্ষিতিধর  মেদিনীধর  মেদিনীধর উচ্চ তীব্রভূমি  মহীন্দ্র বালিয়াড়ি উপগিরি  তুষারস্তূপ  পৃথিবীধর  পৃথ্বীধর  অবনীধর  ধরণীধর  ধরাধর  বসুধাধর  শৈল  অদ্রি  পর্বত  গিরি   আর ও পড়ুন... উপসর্গ কাকে বলে?|| উপসর্গ কি?উপসর্গ কত প্রকার ও কি কি ?উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর। চক্ষু, জ্ঞান, বাজার, সময় এর সমার্থক শব্দ কি কি? || চক্ষু, জ্ঞান, বাজার, সময় এর বা প্রতিশব্দ কি কি? মুদ্রার অবমূল্যায়ন কি? || মুদ্রার অবমূল্যায়ন কাকে বলে?(What is Devaluation)?

মুদ্রার অবমূল্যায়ন কি? || মুদ্রার অবমূল্যায়ন কাকে বলে?(What is Devaluation)?

Image
 মুদ্রার অবমূল্যায়ন কি||মুদ্রার অবমূল্যায়ন কাকে বলে(What is Devaluation): মুদ্রার অবমূল্যায়ন (Devaluation): সরকার স্বেচ্ছায় যখন বৈদেশিক মুদ্রা অথবা স্বর্ণের তুলনায় দেশীয় মুদ্রার বিনিময় মূল্য কমিয়ে দেয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে । মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হলে এক একক দেশীয় মুদ্রার বিনিময়ে পূর্বাপেক্ষা কম পরিমাণ স্বর্ণ অথবা বিদেশী মুদ্রা পাওয়া যায় । যেমন ধরা যাক আমেরিকার ১ ডলারের সাথে বাংলাদেশের টাকার বিনিময় হার হল ১ ডলার = ৮০.০০ টাকা বাংলাদেশ সরকার যদি ডলারের তুলনায় মুদ্রার মূল্য হ্রাস করে ১ ডলার = ৮৫.০০ টাকা ধার্য করে । তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ।  এভাবে বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে অথবা স্বর্ণের হিসাবে যখন কোন দেশের মুদ্রার আন্তর্জাতিক বিনিময় মূল্য সরকারী আদেশে হ্রাস করা হয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ( Devaluation ) বলে ।  চিত্র: মুদ্রার অবমূল্যায়ন পার্শ্বের চিত্রে Ox অক্ষে ডলারের পরিমাণ এবং Oy অক্ষে ডলারের ভিত্তিতে  টাকার বিনিময় হার দেখান হয়েছে । r1এবং r2 সরকারীভাবে সমর্থিত টাকার পােগিং সীমা । মনে করি কোন কারণে বাংলাদেশের আমদানী চাহি

উপসর্গ কাকে বলে?|| উপসর্গ কি?উপসর্গ কত প্রকার ও কি কি ?উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর।

উপসর্গ কাকে বলে|| উপসর্গ কি।উপসর্গ কত প্রকার ও কি কি।উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর। উপসর্গের সংজ্ঞা:  যেসব বর্ণ বা বর্ণের সমষ্টি ধাতু এবং শব্দের পূর্বে বসে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটায়, তাদেরকে বলা হয় উপসর্গ।  যেমন—প্র, পরা, পরি, নির ইত্যাদি। উপসর্গ’ কথাটির মূল অর্থ ‘উপসৃষ্ট ’। এর কাজ হলো নতুন শব্দ গঠন করা। উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে থাকে। মনে রাখতে হবে, উপসর্গ সব সময় মূল শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয় । ‘তাপ’ (বিশেষ্য পদ) তৎসম পদ। ‘তাপ’ অর্থ উষ্ণতা বা উত্তাপ। এর পূর্বে ‘প্র’ বা ‘অনু’ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে প্রতাপ (প্র+তাপ) যার অর্থ পরাক্রান্ত বা বীরত্ব।  অনুতাপ (অনু+ তাপ) যার অর্থ অনুশোচনা বা আফসোস ইত্যাদি নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে এবং ‘তাপ’ শব্দের অর্থের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।  আবার ‘প্র’ বা ‘অনু’ এর নিজস্ব কোন অর্থ নেই বা এগুলো স্বাধীনভাবে কোন বাক্যেও ব্যবহৃত হতে পারে না। তাই ভাষাবিদগণ এরূপ অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশের নাম দিয়েছেন 'উপসর্গ'। যেমন- ‘হার’ একটি শব্দ। এর সাথে উপ, আ, প্র, বি উপসর্গ যুক্

অর্থের মায়া কি|| মুদ্রা ধাঁধা কি?(What is Money illusion ?)

Image
 অর্থের মায়া  কি|| মুদ্রা ধাঁধা কি(What is Money illusion) অর্থের মায়া / মুদ্রা ধাঁধা(Money illusion ): অর্থের মায়া ধারণাটি কেইস তার আয় ও নিয়ােগ তত্ত্বে শ্রম বাজারের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করেছেন ।  তিনি বলেন , শ্রমিকরা অর্থের মােহে ভােগে । ফলে তারা প্রকৃত মজুরি অপেক্ষা আর্থিক মজুরির উপর বেশি জোর দেয় । শ্রমিকরা অর্থের মােহে ভােগে বলে স্বল্পকালে আর্থিক মজুরি নিম্নদিকে অনমনীয় । এজন্য কেইস ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদদের আর্থিক মজুরি হ্রাসের বিষয়টি বাতিল করে দেন । এর অর্থ স্বল্পকালে শ্রম বাজারে কোন কারণে শ্রমের চাহিদা এর যােগান অপেক্ষা বেশি হলে অনিচ্ছাকৃত বেকারত্ব দেখা দেবে । তবে উল্লেখ্য অর্থের মােহ বা মায়া দীর্ঘকাল প্রযােজ্য নয় ।  সুতরাং বলা যায় কোন ব্যক্তি যখন প্রকৃত মূল্যের চেয়ে আর্থিক মূল্যের সাথে বেশি সাড়া দেয় তখন ঐ ব্যক্তি অর্থের মায়ায় ভােগে ।    সহজভাবে বলা যায় যখন মজুরি সামান্য বাড়লে শ্রমিকরা খুশি হয় এবং সামান্য মজুরি কমলে শ্রমিকরা তার বিরুদ্ধে সােচ্চার হয়ে ওঠে তখন তাকে অর্থ মায়া বা মােহ বলে ।  চিত্র: অর্থের মায়া আর ও পড়ুন... ব্রেক ইভেন পয়েন্ট কি ? || সমচ্ছেদ বিন্দ

ব্রেক ইভেন পয়েন্ট কি ? || সমচ্ছেদ বিন্দু কি ? || আয় - ব্যয় সমতা বিন্দু কি?(What is Break Even Point ?)

Image
 ব্রেক ইভেন পয়েন্ট কি || সমচ্ছেদ বিন্দু কি ||আয় - ব্যয় সমতা বিন্দু কি(What is Break Even Point ):   ইভেন পয়েন্ট (Break Even Point):  ব্রেক ইভেন পয়েন্ট বা সমচ্ছেদ বিন্দুবলিতে কোন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অথবা বিক্রয় মাত্রার ঐ অবস্থান কে বুঝায় যেখানে মােট বিক্রয় মােট ব্যয়ের সমান হয় । মােট ব্যয় রেখা মােট বিক্রয় রেখাকে যে বিন্দুতে ছেদ করে উক্ত ছেদ বিন্দুকে ব্রেক ইভেন পয়েন্ট বলে । এই বিন্দুতে কোন প্রতিষ্ঠানের লাভ লােকসান কিছুই হয়না । চিত্র : ব্রেক ইভেন পয়েন্ট ব্রেক ইভেন বিন্দুতে মােট আয় ও মােট ব্যয় সমতা অবস্থা নির্দেশ করে । এই বিন্দুতে TR = ARxq TC = ACxq হয় । অর্থাৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মুনাফা অর্জিত হলে দীর্ঘমেয়াদী ফার্ম ভারসাম্য অবস্থায় পৌঁছে । এই অবস্থার পূর্বে বা পরে ফার্ম দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন করতে চায় না । এজন্য উৎপাদনের এরূপ পরিস্থিতিতে ব্রেক ইভেন পয়েন্ট বলে । স্বল্পকালে ফার্ম এই বিন্দু ডানে TR > TC বা অস্বাভাবিক মুনাফা এবং বামে TR < TC বা ক্ষতির সম্মুখীন হয় । এজন্য উৎপাদনের OM উৎপাদন স্তরে e বিন্দুতে উৎপাদন পরিস্থিতিকে ব্রেক ইভেন পয়

অপূর্ণ নিয়ােগ বা অপূর্ণ নিয়ােগের ভারসাম্য কাকে বলে?(What is the Underemployment Equilibrium?)

Image
অপূর্ণ নিয়ােগ বা অপূর্ণ নিয়ােগের ভারসাম্য কাকে বলে(What is the Underemployment Equilibrium) অপূর্ণ নিয়ােগ বা অপূর্ণ নিয়ােগের ভারসাম্য(Underemployment Equilibrium): অপূর্ণ নিয়ােগ কেইনসের আয় ও নিয়ােগ তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক । পূর্ণ নিয়ােগের নিম্নাবস্থায় অর্জিত ভারসাম্যকে অপুর্ণ নিয়ােগের ভারসাম্য বলে । ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ ও পূর্ণ প্রতিযােগিতা বিদ্যমান থাকলে অর্থনীতিতে যে নিয়ােগ নির্ধারিত হয় তা পূর্ণ নিয়ােগের তুলনায় কম । তবে এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত বেকারত্ব প্রযােজ্য নয় । সুতরাং কর্মক্ষম এবং কাজ পেতে ইচ্ছুক শ্রমিকগণের মধ্যে যদি কেউ বেকার থাকে এবং ব্যক্তিগত বিনিয়ােগকারীদের দ্বারা ঐ বেকারত্ব দূর করার আর কোন সম্ভাবনা যখন থাকে না  তখন এ ভারসাম্যাবস্থাকে বলে অপূর্ণ নিয়ােগের ভারসাম্য ।  অনুমিত শর্তঃ  ( ১ ) ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ  ( ২ ) পূর্ণ প্রতিযােগিতা এবং  ( ৩ ) ইচ্ছাকৃত বেকারত্ব অবিবেচ্য ।  কেইনসের মতে , পূর্ণ নিয়ােগে পৌছানাের জন্য যে পরিমাণ মােট চাহিদা প্রয়ােজন ব্যক্তি পর্যায়ে তার অভাব দেখা দেয় । ন্যূনতম খরচের তুলনায় প্রত্যাশিত আয় কম হলে নিয়ােগকারীগণ ক্ষতির আশঙ্কায

নিরপেক্ষ মানচিত্র কি?(Indifference map ) || নিরপেক্ষ মানচিত্র কাকে বলে?(What is Indifference map?)

Image
নিরপেক্ষ মানচিত্র কি?(Indifference map): নিরপেক্ষ মানচিত্র  (Indifference map ): একটি নিরপেক্ষ রেখা হতে ভােক্তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ উপযােগ লাভ করে । এখন যদি ভােক্তা এ নির্দিষ্ট পরিমাণ উপযােগের চেয়ে বেশি উপযােগ পেতে চায় তাহলে তা ঐ একই নিরপেক্ষ রেখা দ্বারা দেখানাে সম্ভব নয় । কারণ একটি নিরপেক্ষ রেখার বিভিন্ন বিন্দু সমপরিমাণ উপযােগ নির্দেশ করে । এক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নিরপেক্ষ রেখার প্রয়ােজন হয় । দুটি অক্ষ সম্বলিত একটি চিত্রে যখন একের অধিক নিরপেক্ষ রেখা দেখানাে হয় তখন তাকে নিরপেক্ষ মানচিত্র বলে ।  নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে নিরপেক্ষ মানচিত্র দেখানাে হল   চিত্র: নিরপেক্ষ মানচিত্র             চিত্রে উল্লম্ব অক্ষে y দ্রব্য এবং অনুভূমিক অক্ষে x দ্রব্য পরিমাপ করা হয়েছে । X ও y দ্রব্যের বিভিন্ন সংমিশ্রণ বিবেচনা করে চিত্রে তিনটি নিরপেক্ষ রেখা IC1 , IC2  এবং IC3 দেখানাে হয়েছে । IC1 ; নিরপেক্ষ রেখার চেয়ে IC2 , নিরপেক্ষ রেখাতে এবং IC2 , নিরপেক্ষ রেখার চেয়ে IC3 ; নিরপেক্ষ রেখায় ভােক্তা বেশি উপযােগ লাভ করে । ভােক্তার নিকট A বিন্দুর চেয়ে B বিন্দু এবং B বিন্দুর চেয়ে C বিন্দু অধিক পছন্দনীয় । সুত

উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ কি?(What isExpansion Path?) || স্কেল লাইন কি || মাত্রা রেখা কাকে বলে?

Image
উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ কি (What isExpansion Path): উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ(Expansion Path): বিভিন্ন সমব্যয় রেখা ও সমউৎপাদন রেখার স্পর্শক বিন্দুসমূহ নিয়ে গঠিত সঞ্চার পথকে উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ বা স্কেল লাইন বলে । সমব্যয় রেখার সাথে সমউৎপাদন রেখার স্পর্শক বিন্দুগুলােতে উৎপাদকের ভারসাম্য নির্ণীত হবার সাথে ন্যূনতম খরচে উৎপাদন সংমিশ্রণ নির্ধারিত হয় ।  অতএব , সর্বনিম্ন ব্যয় সম্পন্ন উপাদান সংমিশ্রণ সূচক বিন্দুগুলােকে সংযােগকারী রেখাটিই হল উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ বা স্কেল লাইন ।  নিম্নের চিত্রে স্কেল লাইন দেখান হল - চিত্র: উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ বা স্কেল লাইন  চিত্রে Ox অক্ষে X উপাদান এবং OY অক্ষে Y উপাদান দেখান হয়েছে । AA , BB ও CC হল তিনটি সমব্যয় রেখা এবং I1 , l2 ও l3হল তিনটি সমউৎপাদন রেখা । চিত্রে দেখা যায় AA , BB ও CC সমব্যয় রেখাগুলাে I1, I2 ও I3 সমউৎপাদন রেখাগুলােকে যথাক্রমে e , f ও g বিন্দুতে স্পর্শ করে । এখন e , B f ও g বিন্দুগুলাে যােগ করে যে OEp রেখাটি পাওয়া গেল এটাই হল উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ বা স্কেল লাইন । আর ও পড়ুন... চক্ষু, জ্ঞান, বাজার, সময় এর সমার্থক শব্দ কি কি? || চক্ষু, জ্ঞান, বা

চক্ষু, জ্ঞান, বাজার, সময় এর সমার্থক শব্দ কি কি? || চক্ষু, জ্ঞান, বাজার, সময় এর বা প্রতিশব্দ কি কি?

সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ চক্ষু,  জ্ঞান,  বাজার, সময় #চক্ষু: চক্ষু শব্দটি  বিশেষ্য পদ চক্ষু এর সমার্থক শব্দ: ●চোখ                  ●আঁখি  ●অক্ষি                 ● লোচন ●নেত্র                   ● নয়ন ● দর্শনেন্দ্রিয়         ● আঁখ   #জ্ঞান: জ্ঞান শব্দটি  বিশেষ্য পদ জ্ঞান এর সমার্থক শব্দ: ●উপলব্ধি                ●বোধ ● চেতনা                 ●ধারণা  ●প্রতীতি                ●বুদ্ধি  ●বুদ্ধিমত্তা               ●ধী  ●ধীশক্তিষ              ●ধীগুণ ●পাণ্ডিত্য               ●শিক্ষা ●সংজ্ঞা                  ●বিবেচনা ●অভিজ্ঞতা             ●অভিজ্ঞ #বাজার: বাজার  শব্দটি  বিশেষ্য পদ বাজার এর সমার্থক শব্দ: ●হাট  ●সাধারণের ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান ●প্রচুর আমদানি ●সমাবেশ। #সময়:    সময় শব্দটি  বিশেষ্য পদ সময় এর সমার্থক শব্দ: ●কাল               ●বেলা ●অবসর            ●ফুরসত ●সুযোগ             ●উপযুক্ত কাল ●আমল             ●যুগ ●মৃত্যুযকাল         ●আয়ুষ্কাল  ●সুদিন               ● নিয়ম  ●রীতি                 ●প্রথা ●চল আর ও পড়ুন... গুরুচণ্ডালী দোষ কাকে বলে? || গুরুচণ্ডালী দোষ দূষনীয় কেন?উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর?

ভ্যাট( VAT)/ মূসক কি? (What is Vat)? || ভ্যাট/মূসক কীভাবে আরোপতি হয়? || ভ্যাটের বৈশিষ্ট্য( Characteristics of VAT)আলোচনা কর

ভ্যাট( VAT)/ মূসক কি? (What is Vat):

জ্যামিতি কি? || জ্যামিতি কাকে বলে? || জ্যামিতির ইতিহাস ব্যাখ্যা কর?

 জ্যামিতি কি?জ্যামিতি কাকে বলে?জ্যামিতির ইতিহাস ব্যাখ্যা কর? জ্যামিতি বা ('Geometry) জ্যামিতি বা 'Geometry' গণিত শাস্ত্রের  একটি প্রাচীন শাখা । একে রেখা গণিত বলা হয়ে থাকে ।  জ্যামিতি কি?জ্যামিতি কাকে বলে?জ্যামিতির ইতিহাস ব্যাখ্যা কর? জ্যামিতি বা ('Geometry) জ্যামিতি বা 'Geometry' গণিত শাস্ত্রের একটি প্রাচীন শাখা । একে রেখা গণিত বলা হয়ে থাকে । Geometry' শব্দটি গ্রীক Geo - ভূমি (earth) ও metrein - পরিমাপ (measure) শব্দের সমন্বয়ে তৈরি। তাই ’জ্যামিতি’ শব্দের অর্থ ’ভূমি পরিমাপ’। যদিও ব্যুৎপত্তিগতভাবে “ জ্যামিতি ” শব্দের অর্থ ভূমির পরিমাপ তথাপি জ্যামিতি প্রকৃত পক্ষে স্থান বিষয়ক বিজ্ঞান ( Geometry is the science concerned with space ) জ্যামিতি বা Geometry শব্দের ‘ জ্যা ’ এর অর্থ ভূমি এবং “ মিতি ’ এর অর্থ পরিমাপ অর্থাৎ ‘ ভূমির পরিমাপ ' । ( The word geometry means earth measure ' ) জ্যামিতির ইতিহাস জ্যামিতির ইতিহাস (History of Geometry) জ্যামিতি গণিত শাস্ত্রের একটি প্রাচীন শাখা। ভূমি পরিমাপের জন্য জ্যামিতির উদ্ভব হলেও বর্তমানে জ্যামিতি কেবল

গুরুচণ্ডালী দোষ কাকে বলে? || গুরুচণ্ডালী দোষ দূষনীয় কেন?উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর?

গুরুচণ্ডালী দোষ কাকে বলে: গুরুচণ্ডালী দোষ: সাধু ও চলিত ভাষার ত্রুটিপূর্ণ মিশ্রণকে ‘ গুরুচণ্ডালী দোষ ’ বলে ।  “ সাধু ভাষা ’ ও ‘ চলিত ভাষা বাংলা ভাষারই দুটো রীতি । এক রীতির সাথে অন্য রীতি মিলিয়ে ফেললে ভাষা অসুন্দর হয়, ভাষারীতিতে ত্রুটি ঘটে ,উভয়রীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান। তাই একই রচনায় সাধু ও চলিত ভাষার সংমিশ্রণ অসংগত ও অশুদ্ধ। ভাষারীতির এ অশিষ্ট প্রয়োগকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে। যেমন , যদি লিখি ' আমি শৰ পোড়াতে গিয়াছিলাম তাহলে ভুল হবে ; কেননা , ‘ শব ' সাধু রীতির শব্দ , গিয়াছিলাম ' ও তাই , অথচ ‘ পােড়াতে চলিত ভাষার রূপ । তাই লেখা উচিত ‘ আমি শব দাহ করিতে গিয়াছিলাম ' ( সাধু ভাষা ) , কিংবা ' আমি মড়া পােড়াইতে গিয়াছিলাম ' ( সাধু ভাষা ) কিংবা ‘ আমি মড়া পােড়াতে গিয়েছিলাম ' ( চলিত ভাষা ) । সাধু ও চলিত ভাষার ত্রুটিপূর্ণ মিশ্রণকে ‘ গুরুচণ্ডালী দোষ ’ বলে । গুরুচণ্ডালী দোষ দূষনীয় কেন: ●এক রীতির সাথে অন্য রীতি মিলিয়ে ফেললে ভাষা অসুন্দর হয়। ●একই রচনায় সাধু ও চলিত ভাষার সংমিশ্রণ অসংগত ও অশুদ্ধ। ●ভাষারীতিতে ত্রুটি ঘটে ●সাধু ও চলিত ভাষ

নীলিমা শব্দের সমার্থক শব্দ/ প্রতিশব্দ কিকি?

নীলিমা শব্দের  সমার্থক শব্দ/ প্রতিশব্দ  কিকি: নীলিমা শব্দের সমার্থক শব্দ/  প্রতিশব্দঃ নীলিমা শব্দটি   বিশেষ্য পদ এখানে মোট ২৫টি নীলিমা শব্দের সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে- ●আকাশ                  ● অন্তরীক্ষ ●অম্বর                      ●অনন্ত ●অভ্র                        ●গগণ ●ব্যোম                      ●শূন্য ●শূন্যলোক               ●নভঃ ● দুল্যোক                 ●আসমান ●সুরপথ                    ●অম্বরতল ●ছায়ালোক              ●দ্যু ●নভোলোক             ●খগোল ●নক্ষত্রলোক            ●নভ ●নভোমণ্ডল              ●খলোক ●ইথার                      ●নভস্তল  ● নভস্থল আর ও পড়ুন... ভাষা কাকে বলে? || ভাষা কি?(What is Language)? || ভাষার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর?(Discuss the features of language)? ব্যাকরণ কাকে বলে? || ব্যাকরণের সংজ্ঞা দাও ? || ব্যাকরণ পাঠের প্রয়ােজনীয়তা আলোচনা কর?   রেখা কাকে বলে? || রেখা কি?(What is line?) || রেখা কত প্রকার ও কি কি?(How many types of lines and what are they)?

ভাষা কাকে বলে? || ভাষা কি?(What is Language)? || ভাষার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর?(Discuss the features of language)?

Image
ভাষা কাকে বলে || ভাষা কি(What is Language): ভাষা(Language): কতকগুলো অর্থবােধক ধ্বনির সাহায্যে এক এক সমাজের মানুষ তাদের সামাজিক জীবন চালু রাখে । এক এক সমাজের সকল মানুষের অর্থবোধক ধ্বনির সমষ্টিই ভাষা ।   অর্থাৎ, জিহবা , দন্ত , ওষ্ঠ , তালু , মুখগহবর , নাসিকা , গলনালী প্রভৃতি যন্ত্রের সাহায্যে অর্থবহ ধ্বনি সৃষ্টি করে তার সমষ্টিকেই ভাষা বলে । সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ' শব্দের দ্বারা মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম কে ভাষা বলে  আরাে সংক্ষেপে বলা যায় , বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত সাংকেতিক ধ্বনি সমষ্টিই হলাে ভাষা ।  বিভিন্ন লেখক ও চিন্তাবিদ ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে ভাষার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন । ●ড . সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে “ মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন কোনাে বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে ” । ●বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড . মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে , “ মানুষ জাতি যেমন ধ্বনি বা ধ্বনির সমষ্টি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে তার নাম ভাষা ” । ●  ভেন্ডার জেনডিন ( James W . Vander Zanden ) এর

রেখা কাকে বলে? || রেখা কি?(What is line?) || রেখা কত প্রকার ও কি কি?(How many types of lines and what are they)?

Image
রেখা কাকে বলে || রেখা কি(What is line?): রেখা( Line): রেখা ( Line) একাধিক বিন্দুর পারস্পরিক সংযোগের ফলে সৃষ্ট পথবিশেষ। রেখার কোন প্রান্ত বিন্দু নেই । ( A line has no end point ) অন্যভাবে বললে, একটি বিন্দুর চলার পথকে রেখা বলা হয়। রেখার দৈর্ঘ্য আছে , কিন্তু প্রস্থ ও বেধ নাই ।( A Line has length but no breadth and width ) চিত্রঃ       রেখা রেখার কোন প্রান্ত বিন্দু নেই,তাই রেখাকে ইচ্ছামত উভয় দিকে বাড়ানো যায়। রেখার প্রকারভেদ: রেখা মূলত দুই প্রকার। যথা- ১। সরলরেখা ও ২। বক্ররেখা। ১. সরল রেখা( Straight line ):  যদি কোন বিন্দু সরল পথে চলে দুই দিকেই অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, তবে তাকে সরলরেখা বলে। দুটি বিন্দুর মধ্যে দিয়ে একটি এবং কেবল মাত্র একটি সরল রেখা আঁকা যায় । (One and only one straight line can be drawn through two points ) চিত্রঃ সরল রেখা উপরের চিত্রে AB একটি সরল রেখা। যে সব বিন্দু একই সরল রেখায় অবস্থান করে তাদেরকে সমরেখ বিন্দু বলে । ( The points lying on the same straight lines are called co - linear ) ২. বক্ররেখা ( Curved line ) :  একটি ব

ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি কিভাবে হয়? || ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি (How did the English Language Originated?)

ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি কিভাবে হয়: ইংরেজি ভাষার উৎপত্তিঃ ইংরেজি ভাষা, বিশেষ্য পদ। ইংরেজি বা ইংরাজি (English) হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জানা ও কথিত ভাষা। ইংরেজি কে বিশ্বের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ও মনে করা হয়।  ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা। জার্মানীয় গোত্র অ্যাংগল্‌স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার কেল্টীয় ভাষাভাষী আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে স্কটল্যান্ড, কর্নওয়াল,ওয়েল্‌স ও আয়ারল্যান্ডে হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই প্রাচীন ইংরেজির ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ব্যুৎপত্তিঃ ১০৬৬ সালে উত্তর ফ্রান্সের নরমঁদি অঞ্চলে বসবাসকারী নর্মান জাতি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড আক্রমণ করে। নর্মানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজারা ছিলেন নর্মান বংশোদ্ভূত এবং এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নর্মানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন ফরাসি ভাষায় সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রা

ব্যাকরণ কাকে বলে? || ব্যাকরণের সংজ্ঞা দাও ? || ব্যাকরণ পাঠের প্রয়ােজনীয়তা আলোচনা কর?

ব্যাকরণ কাকে বলে || ব্যাকরণের সংজ্ঞা দাও:  ব্যাকরণের সংজ্ঞা : সাধারনভাবে বলা যায় ,যে শাস্ত্রের সাহায্যে ভাষার স্বরূপ ও গঠণপ্রকৃতি নির্ণয় করে সুবিন্যস্ত করা যায় এবং ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে এবং লিখতে পারা যায়, তাকে ব্যাকরণ বলে। ব্যাকরণের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ : ‘ ব্যাকরণ ’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ এবং এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে — বিশ্লেষণ । শব্দটির ব্যুৎপত্তি এরকম -  বি+আ+√কৃ+অন = ব্যাকরণ ব্যাকরণ যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাব বিশ্লেষণ। ব্যাকরনকে বলা হয় ভাষার সংবিধান। ব্যাকরণ না জানলেও ভাষা ব্যবহার করা সম্ভব তবে শুদ্ধভাবে মনের ভাব বা ভাষা প্রকাশ করতে চাইলে আপনাকে ব্যাকরণের নিয়ম-কানুন জানা আবশ্যক। ইংরেজিতে আমরা ব্যাকরণকে বলে থাকি Grammar যার অর্থ ‘শব্দশাস্ত্র’। যে শাস্ত্রে কোনা ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপর বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে #বাংলা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা সম্পর্কে ভাষা বিজ্ঞানীগণ এখনাে পর্যন্ত একমত হতে পারেননি । তাঁরা এ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেনঃ ●ড . মুহম্মদ শহীদুল

সমাজ কি? || সমাজের সংজ্ঞা(What is society?) || সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি?(What are the characteristics of society?)

সমাজ কি || সমাজের সংজ্ঞা (What is society): সমাজের সংজ্ঞা: একদল মানুষ যখন কোনাে সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে তখন তাকে সমাজ বলে । অন্যভাবে বলা যায় , পরস্পর নির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠা জনসমষ্টিকে সমাজ ( Society ) বলে । সমাজ একটা অমূর্ত ধারণা । সমাজের কোন নির্দিষ্ট সীমানা নেই । সমাজ ছােট হতে পারে আবার বড়ও হতে পারে । এমনকি বিশ্বব্যাপীও হতে পারে । যেমন , রেডক্রস সমাজ । প্রামান্য সংজ্ঞা : ●সমাজবিজ্ঞানী গিডিংস ( Giddings ) বলেন , ' সমাজ বলতে আমরা সেই জনসাধারণকে বুঝি যারা সংঘবদ্ধভাবে কোনাে সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মিলিত হয়েছে । ( Society is a number of like - minded individuals who know and enjoy their like - mindedness and are therefore able to work together for common ends . )  মনের ভাব প্রকাশের জন্য এবং আদান - প্রদানের সহজাত প্রবৃত্তির বশে মানুষ একত্রে বসবাস করতে শিখেছে । ●অধ্যাপক আর , এম , ম্যাকাইভার তার সমাজ নামক গ্রন্থে সমাজের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে  ( Maciver ) বলেন , ' আমাদের সামাজিক সম্পর্কে জটিল জালই সমাজ । ( Society is the system

Popular posts from this blog

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে? || রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? (What is Political Science?)

চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?

GDP ও GNP কাকে বলে? || GDP ও GNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?