মুদ্রার অবমূল্যায়ন কি? || মুদ্রার অবমূল্যায়ন কাকে বলে?(What is Devaluation)?
মুদ্রার অবমূল্যায়ন কি||মুদ্রার অবমূল্যায়ন কাকে বলে(What is Devaluation):
মুদ্রার অবমূল্যায়ন (Devaluation):
সরকার স্বেচ্ছায় যখন বৈদেশিক মুদ্রা অথবা স্বর্ণের তুলনায় দেশীয় মুদ্রার বিনিময় মূল্য কমিয়ে দেয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে । মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হলে এক একক দেশীয় মুদ্রার বিনিময়ে পূর্বাপেক্ষা কম পরিমাণ স্বর্ণ অথবা বিদেশী মুদ্রা পাওয়া যায় । যেমন ধরা যাক আমেরিকার ১ ডলারের সাথে বাংলাদেশের টাকার বিনিময় হার হল ১ ডলার = ৮০.০০ টাকা বাংলাদেশ সরকার যদি ডলারের তুলনায় মুদ্রার মূল্য হ্রাস করে ১ ডলার = ৮৫.০০ টাকা ধার্য করে । তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ।
এভাবে বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে অথবা স্বর্ণের হিসাবে যখন কোন দেশের মুদ্রার আন্তর্জাতিক বিনিময় মূল্য সরকারী আদেশে হ্রাস করা হয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ( Devaluation ) বলে ।
চিত্র:
মুদ্রার অবমূল্যায়ন |
পার্শ্বের চিত্রে Ox অক্ষে ডলারের পরিমাণ এবং Oy অক্ষে ডলারের ভিত্তিতে টাকার বিনিময় হার দেখান হয়েছে । r1এবং r2 সরকারীভাবে সমর্থিত টাকার পােগিং সীমা । মনে করি কোন কারণে বাংলাদেশের আমদানী চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ডলার এর চাহিদা রেখা DD ডানদিকে স্থানান্তরিত হয়ে D1 , D1 , এ রূপান্তর হল । এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার r1 স্তরে বিনিময় হার রাখার জন্য Be পরিমাণ ডলার পূর্বের রিজার্ভ হতে বিক্রয় করবে । কিন্তু রিজার্ভ যদি না থাকে এবং r1 বিনিময় হারে ও নিকট ভবিষ্যতে এবং লেনদেন ঘাটতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে তবে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ডলারের সাথে এর মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস করবে । চিত্রানুযায়ী বাংলাদেশ সরকার তাই r3 ; কে নতুন সমতা হার হিসাবে ঘােষণা করতে পারে । অর্থাৎ টাকার অবমূল্যায়ন করতে পারে ।
আর ও পড়ুন...
Comments
Post a Comment