স্বপ্নের পদ্মা সেতু || পদ্মা সেতুর জাতীয় ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব || অপার সম্ভাবনার পদ্মা সেতু || বাংলা রচনা "পদ্মা বহুমুখী সেতু"

স্বপ্নের পদ্মা সেতু ||পদ্মা সেতুর জাতীয় ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব || অপার সম্ভাবনার পদ্মা সেতু।। বাংলা রচনা "পদ্মা বহুমুখী সেতু":


"স্বপ্নের পদ্মা সেতু"

১।ভূমিকাঃ

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু।  
এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সাথে  শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু।

তথ্য অনুযায়ী  সেতুটির নির্মাণ শুরু ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মূল সেতুর ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে ২০২১ সাল নাগাদ ।সরকারের পরিকল্পনামাফিক এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ।

২।পদ্মা সেতুঃ

পদ্মা সেতু দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মার উপর প্রস্তাবিত একটি বহুমুখী সেতু। এটা দেশের বৃহত্তম প্রকল্প এবং নির্মাণপরবর্তী সময়ে এটা হবে দেশের সর্ববৃহৎ সেতু। উত্তর দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া উপকূল এবং দক্ষিণ দিকে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের জাজিরা উপকূল হল সেতুটির প্রস্তাবিত স্থান। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৬.১৫ কি.মি. এবং প্রস্থ হবে ১৮.১০ মি. যেটা রেল এবং বাস উভয়ই চলাচলের উপযোগী করে তৈরী করা হবে। এটি বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার সহায়তায় নির্মিত হবে।
মূল সেতু : পদ্মা সেতুর মূল অংশ নির্মাণের জন্য চীনের ‘ চায়না মেজর ইঞ্জিনিয়ারিং করপােরেশন লিমিটেড ' - এর সাথে ২০১৪ সালের জুনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । একই বছরের নভেম্বর মাসে কাজ শুরুর আদেশ পায় ।
 মূল সেতুটি নির্মাণে বরাদ্দের পরিমাণ ১২১৩৩.৩৩ কোটি টাকা । অনুমতি লাভের পরপরই কোম্পানিটি কাজ শুরু করে দেয় । সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রদত্ত ।  

যা আছে পদ্মা সেতুতে?

১. পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’।
২. পদ্মা সেতুর ধরণ দ্বিতলবিশিষ্ট। এই সেতু কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে।
৩. পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় (মূল সেতুতে) ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
৪. ২০১৭-১৮ অর্থবছর পদ্মাসেতু প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ ৫২৪ কোটি টাকা।
৫. পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন ব্যয় ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
৬. পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।
৭. পদ্মা সেতুতে থাকবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা।
৮. পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হবে নিচ তলায়।
৯. পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক।
১০. পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
১১. পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটর।
১২. পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।
১৩. পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার।
১৪. পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করছে প্রায় চার হাজার মানুষ।
১৫. পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার ৮১টি।
১৬. পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা হবে ৬০ ফুট।
১৭. পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।
১৮. পদ্মা সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
১৮. প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং হবে ৬টি।
১৯. পদ্মা সেতুর মোট পাইলিংয়ের সংখ্যা ২৬৪টি।

৩।পদ্মা সেতু বাংলার গর্ব: 

পদ্মা সেতু মূলত বাঙালি জাতির জন্য একটি গর্বের বিষয় এবং এটি আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এটা পৃথিবীর কাকে আবার বাঙালি জাতির নাম কে উজ্জল করেছে। এবং বিশ্ব দরবারে এটি প্রমাণ করে দিয়েছে বাঙালি জাতি এখন আর পিছিয়ে নেই। এবং পদ্মা সেতুর মতো বিভিন্ন প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার মতো ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ। মিথ্যা দুর্নীতি মামলায় বিশ্বব্যাংকের এবং অন্যান্য আর্থিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সরে যাওয়ার সঠিক জবাব হয়েছে এটি।

৪। অন্যান্য অবকাঠামাে : 

অন্যান্য অবকাঠামাের মধ্যে রয়েছে সার্ভিস এরিয়া -২ , পুনর্বাসন , পরিবেশ , ভূমি অধিগ্রহণ , ইঞ্জিনিয়ারিং সাপাের্ট প্রভৃতি । যার প্রত্যেকটির অগ্রগতির হার সন্তোষজনক । মুন্সিগঞ্জ , মাদারীপুর , শরীয়তপুর এ তিন জেলা থেকে ১ হাজার ৪২২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে । পুনর্বাসনের জন্য ২ হাজার ৫৯২ টি প্লটের মধ্যে ইতােমধ্যেই প্রায় সবগুলাে প্লট ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হস্তান্তর হয়েছে । পরিবেশ কার্যক্রমের আওতায় সেতুর উভয় পাশে রােপন করা হয়েছে ৫৫,১৫০ টি চারা গাছ । 

৫।জাতীয় উন্নয়নঃ

জাতীয় উন্নয়ন বলতে মূলত একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে বোঝায়। শিক্ষাব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্য এমনকি খেলাধুলার উন্নতিও জাতীয় উন্নয়নের অংশ। এক কথায় কোন সরকার বা কোন নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নই জাতীয় উন্নয়ন।
 সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

৬।বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া : 

পদ্মাসেতু একটি স্বপ্নের নাম । ১৯ টি জেলার সরাসরি ঢাকার সাথে যােগাযােগের মাধ্যম হবে এ পদ্মা সেতু । অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে যাবে ১ শতাংশের বেশি । দেশের দক্ষিণ - পশ্চিমাঞ্চলে কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পদ্মার উপরে একটি সেতু নির্মাণের । বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্ব ও বৈদেশিক সহায়তায় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার বিষয় যখন চূড়ান্ত তখনই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধ সাধে আন্তর্জাতিক চক্র । বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযােগ আনলে বিশ্বব্যাংকের সাথে অন্য দাতা সংস্থাগুলাে ২০১২ সালের ২৯ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় । ফলে বাংলাদেশে শুরু হয় আলােচনা - সমালােচনার ঝড় । অনেকেই ভাবতে থাকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্ন বুঝি মুখ থুবড়ে পড়েছে । কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে অনঢ় থাকায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের । বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে এ সাহসী সিদ্ধান্তগ্রহণের মাধ্যমে ২০১৪ সালের প্রথম দিকেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায় । নভেম্বর থেকে শুরু হয় পদ্মার সেতুর মূল অংশের কাজ । 

৭।জাতীয় উন্নয়নে পদ্মা সেতুর প্রভাবঃ

পদ্মা সেতুটি প্রধানত দেশের দক্ষিনপশ্চিমাঞ্চলের সাথে সমগ্র দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণের নিমিত্তে নির্মিত হবে। দেশের অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকান্ড রাজধানী থেকে পরিচালিত হয় কিন্তু এ উন্নয়নের সুবিধাগুলো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছতে পদ্মা একটি বড় বাধা। সেতুটি নির্মিত হলে দেশের কেন্দ্রীয় সুবিধা সমূহ এবং উক্ত এলাকাটির সম্ভাব্য উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা জাতীয় উন্নয়নের প্রভাবক। পদ্মা সেতু নির্মানের দ্বারা সৃষ্ট যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যে বিষয় গুলো জাতীয় উন্নয়নকে প্রভাবিত করতে পারে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল।

 ৮।উপকারভোগী ও তাদের সুবিধাঃ

প্রত্যেকটি প্রকল্পেরই প্রাথমিক উপকারভোগী থাকে যারা এটি থেকে সৃষ্ট সুবিধাসমূহ ভোগ করতে প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় তিন কোটি লোক বসবাস করে যারা পদ্মা সেতু প্রকল্পটির প্রাথমিক উপকারভোগী। এ অঞ্চলের লোকজন ঢাকায় যাতায়াতে ফেরী এবং লঞ্চের উপর নির্ভরশীল। মাওয়া জাজিরা পয়েন্টে ফেরী পারাপারে কমপক্ষে দুই ঘন্টা সময় প্রয়োজন হয়। এই এলাকা থেকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা বা জরুরি প্রয়োজনে আসা লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হয়। সেতুটি নির্মিত হলে এই এলাকার লোকজনের ঢাকা সহ সমগ্র দেশে যাতায়াত সহজ হবে যেটা তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাবসায় ও প্রযুক্তি সহ সার্বিক উন্নয়নকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

৯।বহুমুখী যোগাযোগ সুবিধা ও তার প্রভাবঃ

পদ্মা সেতু বাস ও রেল উভয়ই চলাচলের উপযোগী করে তৈরী হবে। এটির মাধ্যমে শুধু যাতায়াতেরই সুবিধা হবেনা বরং এটি টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎব্যাবস্থা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। এ সকল সুবিধা সমূহ দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নকে প্রভাবিত করবে।

১০।ব্যবসা ক্ষেত্রে সুবিধাঃ

পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবসায় উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক। সেতুটি নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাবসায়িক অবস্থায় ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হবে যেটা জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অন্যদিকে ঢাকার সাথে কলকাতার যোগাযোগ সহজ হবে ফলে দ্বিপাক্ষিয় বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটবে। এলাকাভিত্তিক ব্যাবসায়ের উন্নতি সব সময় জাতীয় অর্থনীতির উন্নতির কারন হিসেবে কাজ করে ফলে জাতীয় উন্নয়নের মানও উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়।

১১।মংলা বন্দরের উপর প্রভাবঃ

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি নৌবন্দরের একটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত। এটি হল মংলাবন্দর এবং এটার সংশ্লিষ্ট পরিবহন ব্যাবস্থায় পদ্মা সেতু ব্যবহারের বিকল্প নেই। সেতু দ্বারা সৃষ্ট যাতায়াত ব্যাবস্থার উন্নতি দ¦ারা বন্দরটির সম্ভাব্য উপযুক্ত গ্রহণযোগ্যতা ও উপকারিতা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ নদী পথে বাণিজ্য করা দেশগুলোর সাথে অধিক ব্যাবসায়িক ক্ষেত্র তৈরী করতে পারবে ফলে দেশের সার্বিক বাণিজ্যের উন্নতি সাধিত হবে এবং সেটা জাতীয় উন্নয়নের কার্যকরী প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।

১২।জমির মান বৃদ্ধিঃ

যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি হওয়ার কারনে এই এলাকার জমির মান ও বৃদ্ধি পাবে কারন সে গুলো পূর্বের তুলনায় যে কোন কাজের জন্য অধিক যথোপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

১৩।উপসংহারঃ

এই সেতু হলে বছরে বিনিয়োগের ১৯ শতাংশ করে উঠে আসবে। কৃষি-শিল্প-অর্থনীতি-শিক্ষা-বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রেই এই সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরের আদলে শহর গড়ে তোলার কথাবার্তা হচ্ছে। নদীর দুই তীরে আসলেই আধুনিক নগর গড়ে তোলা সম্ভব। তবে সে জন্য এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে। এই সেতু ঘিরে কী কী হতে পারে, কোথায় শিল্পকারখানা হবে, কোথায় কৃষিজমি হবে—সেসব এখনই বিবেচনা করা উচিত। প্রয়োজনে এখানে প্রশাসনিক রাজধানী হতে পারে। এই সেতুকে ঘিরে পর্যটনে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। অনেক আধুনিক মানের হোটেল-রিসোর্ট গড়ে উঠবে। এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০৩৫-৪০ সালে বাংলাদেশ যে উন্নত দেশ হবে, সে ক্ষেত্রেও এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, স্বপ্নের এই সেতুকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।




আর ও পড়ুন...

Comments

Popular posts from this blog

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে? || রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? (What is Political Science?)

চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?

GDP ও GNP কাকে বলে? || GDP ও GNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?