Posts

Showing posts from August, 2021

ভাবসম্প্রসারণ নানান দেশের নানান ভাষা বিনা দেশী ভাষা মিটে কি আশা?

 ভাবসম্প্রসারণ নানান দেশের নানান ভাষা বিনা দেশী ভাষা মিটে কি আশা? মূলভাবঃ সবচেয়ে সহজ এবং সাবলীল ভাষা মাতৃভাষা।মায়ের ভাষা মাতৃভাষা। এই ভাষায় কথা বললে আত্মতৃপ্তি ঘটে, মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। এই ভাষায় কথা বলে যে সুখ পাওয়া যায়, অন্য ভাষায় কথা বলে সে সুখ অসম্ভব। সম্প্রসারিত ভাবঃ   মাতৃভাষার সুধা মাতৃতুল্য   সবচেয়ে সহজ এবং সাবলীল  মাতৃভাষা বলে আমরা এই ভাষায় কথা বলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। অন্য ভাষা যতই মর্যাদা সম্পন্ন হোক না কেন, মায়ের ভাষার সাথে তার কোনো তুলনা হয় না। মনের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য আমাদের বাংলা ভাষারই আশ্রয় নিতে হয়। বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথমে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চা শুরু করলেও তাঁর রচনা সমাদৃত হয়নি ইংরেজি সাহিত্যে তথা ইংরেজ ভাষাভাষীর হৃদয়ে। যখন বােধােদয় হয় তখন তিনি ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগপূর্বক লেখেন- “পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালেমাতৃভাষা রূপখনি, পূর্ণ মণিজালে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে তার মাতৃভাষা শ্রেষ্ঠ। অন্য ভাষা যতই সহজ হােক না কেন, মাতৃভাষা ছাড়া মনের ভাব উত্তমরূপে আর কোনাে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মাতৃভাষা যে-কোনাে মানুষ

'দুঃখের মতাে এত বড় পরশপাথর আর নেই ''||Sadly, there is no such big stone

 ভাবসম্প্রসারণ ''দুঃখের মতাে এত বড় পরশপাথর আর নেই ''||Sadly, there is no such big stone মূলভাব:  দুঃখের পরশেই মানুষ সত্যিকার মনুষ্যত্ব লাভ করে। তাই মানুষের জীবনের সকল প্রাপ্তির মূলে দুঃখ পরশপাথরের মতােই কাজ করে। বড় দুঃখ মানুষের সকল জড়তা ও দৈন্য দূর করে মানুষকে করে তােলে আত্মশক্তিতে বলীয়ান, দুঃখের দহনে জাগ্রত হয় মানবসত্তা এবং জীবন হয় আলােকিত।  ভাবসম্প্রসারণঃ  দুঃখের পর সুখ আসে— এটাই পৃথিবীর চিরায়ত নিয়ম । দুঃখের দহনে পুড়েই মানুষ খাটি সােনা অর্থাৎ প্রকৃত মানুষে পরিণত হয়। দুঃখ মানুষের সকল দৈন্য দূর করে জীবনকে সার্থক করে তােলে। পরশপাথরের ছোঁয়ায় লােহা যেমন সােনায় পরিণত হয়, তেমনি দুঃখ নামক পরশপাথরের ছোঁয়ায় মানুষের সব গ্লানি দূর হয়ে যায়। মানুষের বিবেক মহান হয়, অন্যের ব্যথায় সে ব্যথিত হয়। যে জীবনে কোনাে দুঃখকষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণা নেই, সে জীবন পূর্ণ জীবন নয়। কারণ তার মধ্যে কোনাে সমবেদনার অনুভূতি নেই, দুঃখদারিদ্র্যের সীমাহীন কষ্ট সে বুঝতে পারে না। বিলাসিতায় জীবন অতিবাহিত করলে সঠিকভাবে মনুষ্যত্বের বিকাশ হয় না। জগতের সকল মহান ব্যক্তিরা দুঃখকে জয় করেই সা

আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য ভাবসম্প্রসারণ ||The purpose of education is to gain self-empowerment

  আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য ভাবসম্প্রসারণ ||The purpose of education is to gain self-empowerment মূলভাব:  বস্তুত শিক্ষার মূল লক্ষ্য মানুষের আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তির বিকাশের মাধ্যমে তার মনুষ্যত্ব ও বিবেককে জাগ্রত করা। আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তি মানুষের একটি বিশেষ গুণ, যা তার অস্তিত্বের মাঝেই নিহিত থাকে। কিন্তু মানুষ জন্মগতভাবে এ শক্তির অধিকারী হয় না। মানুষের মধ্যে আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তি তখনই জাগ্রত হয় যখন মানুষের মন প্রকৃত শিক্ষার আলােকে আলােকিত হয়। ভাবসম্প্রসারণ   শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য মানুষের কর্মশক্তি অর্জন ও মনুষ্যত্বের বিকাশ । মানুষের মনােদৈহিক ক্ষমতাগুলােকে বিকশিত করা । অর্থ উপার্জনই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য নয় । যদিও বর্তমান যুগে ভালাে ফলাফল করার উদ্দেশ্য হলাে ভালাে একটি চাকরি পাওয়া এবং অধিক অর্থ উপার্জন করা , কিন্তু এতে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য নষ্ট হয়ে যায় । শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে যায় । মানবসম্পদ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষার প্রচলন হয়েছে ।   শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলাে মানুষের বােধবুদ্ধি , বিবেক জাগ্রত করা , ভেতর

বাক্য সংকোচন কাকে বলে?What is sentence contraction?বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ কাকে বলে?

  বাক্য সংকোচন কাকে বলে?||What is sentence contraction?||বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ কাকে বলে? বাক্য সংকোচন বলে : একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে । অর্থাৎ একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে । যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ এখানে হীরকরাজ- শব্দের মাধ্যমে হীরক দেশের রাজা- এই তিনটি পদের অর্থই সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে । এই তিনটি পদ একত্রে একটি বাক্যাংশ বা উপবাক্যও বটে । অর্থাৎ, হীরক দেশের রাজা- তিনটি পদ বা বাক্যাংশটির বাক্য সংকোচন হল- হীরকরাজ  অর্থাৎ  বাক্য সংক্ষেপণ একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে , তাকে বাক্য সংক্ষেপণ বলে । এটি বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশেরই নামান্তর ।  ★এখানে বাক্য সংকোচনের উদাহরণ দেওয়া গেল - বাক্য সংক্ষেপণের বা বাক্য সংকোচনের উদাহরণ   অকালে পক্ক হয়েছে যা - অকালপক্ব ।       অক্ষির সমক্ষে বর্তমান = প্রত্যক্ষ ।  অজ্ঞতার অভাব আছে যার – অনভিজ্ঞ ।   অহংকার নেই যার = নিরহংকার ।   অনেকের

বচন কাকে বলে?বচন কত প্রকার ও কি কি ?What is number? How many number and what are they? বচন কাকে বলে ? বচনের প্রকারভেদ/শ্রেনিবিভাগ আলোচনা কর?বচন কি?বাংলায় বচন চেনার উপায় কি কি?

  বচন কাকে বলে?বচন কত প্রকার ও কি কি ?||What is number? How many number and what are they? বচন কাকে বলে ? বচনের প্রকারভেদ/শ্রেনিবিভাগ আলোচনা কর?||বচন কি?বাংলায় বচন চেনার উপায় কি কি? বচনঃ   বচন ' ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ । এর অর্থ সংখ্যার ধারণা । ব্যাকরণের বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বলে বচন । সহজভাবে বলা যায় যে যা দ্বারা কোনাে ব্যক্তি , বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বুঝায় , তাকে বচন বলে ।   auto add code & in article add code : অন্যভাবে বলা যায় , যে সকল শব্দ দ্বারা কোনাে ব্যক্তি , বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বুঝায় , তাদেরকে বচন বলে । যেমনঃ একটি পাখি , অনেকগুলাে পাখি ইত্যাদি ।  বচনের প্রকারভেদঃ বাংলা ভাষায় বচন দুই প্রকর : একবচন ও বহুবচন ।ইংরেজিতে বলা হয় singular and plural. একবচনঃ যখন কোন শব্দ দিয়ে কেবল একটি ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীকে বোঝান হয়, তখন তাকে একবচন বলে। যেমন - মেয়েটি, বইটি ইত্যাদি।যেমন – সে এলাে । মেয়েটি স্কুলে যায়নি । বহুবচনঃ আবার যে শব্দ দিয়ে একাধিক ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীকে বোঝান হয়, তখন তাকে বহুবচন বলে। যেমন — মেয়েগুল

ব্যাকরণ এর প্রধান আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কি কি?।।বাংলা ব্যাকরণ এর আলোচ্য বিষয় কি কি?।।What are the topics of Bengali grammar ?।।ব্যাকরণ এ কি কি বিষয় আলোচিত হয়?।।ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কী কী?How many and what are the topics of grammar?

  ব্যাকরণ  এর প্রধান আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কি কি?।।বাংলা ব্যাকরণ  এর আলোচ্য বিষয় কি কি?।।What are the topics of Bengali grammar ?।।ব্যাকরণ এ কি কি বিষয়  আলোচিত হয়?।।ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কী কী?How many and what are the topics of grammar? ব্যাকরণ : ব্যাকরণ ( = বি + আ + কৃ + অন ) শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ ।  সংজ্ঞা :  যে শাস্ত্রে কোনাে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার - বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়ােগবিধি বিশদভাবে আলােচিত হয় , তাকে ব্যাকরণ বলে ।     বাংলা ব্যাকরণ : যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠনপ্রকৃতি ও স্বরূপ বিশ্লেষিত হয় এবং এদের সম্পর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়ােগবিধি আলােচিত হয় , তাই বাংলা ব্যাকরণ ।   বাংলা ব্যাকরণে আলােচ্য বিষয় : প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে ।  যেমন— ১. ধ্বনি ( Sound )  ২. শব্দ ( Word )  ৩. বাক্য ( Sentence )  8. অর্থ( Meaning )   সব ভাষার ব্যাকরণেই প্রধানত নিম্নলিখিত চারটি বিষয়ের আলােচনা করা হয় -  ১. ধ্বনিতত্ত্ব ( Phonology )  ২. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব ( Morpho

Popular posts from this blog

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে? || রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? (What is Political Science?)

চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?

GDP ও GNP কাকে বলে? || GDP ও GNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?