Posts

Showing posts from April, 2020

DSE কি? || ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( Dhaka Stock Exchange ) এর কার্যাবলী?

DSE কি? || ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( Dhaka Stock Exchange )  এর কার্যাবলী: DSE(Dhaka Stock Exchange ): ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসই বাংলাদেশের প্রধান ও প্রথম শেয়ার বাজার। দ্বিতীয় শেয়ার বাজার হচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসই ঢাকার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত। ১৯৫৪ সালে এটি গঠিত হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডি এস ই) “পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি” হিসাবে নিবন্ধিত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ “আর্টিকেলস অফ রুলস এন্ড রেগুলেশন্স এন্ড বাই-লজ”, “সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯”, “কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪” এবং “সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩” দ্বারা শাসিত হয়ে থাকে।  ১৮ আগস্ট, ২০১০ তারিখ পর্যন্ত এতে ৭৫০টিরও অধিক তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে পুঁজি বাজারে ৫০.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে। এপ্রিল, ২০১২ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৩৫টি কোম্পানি, ৪০টি মিউচুয়াল ফান্ডস এবং ৮টি ডিবেঞ্চার তালিকাভুক্ত  হয়েছে। এগুলির মোট মার্কেট পুঁজির পরিমাণ ৩২.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা বোর্ড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) এর প্রশাসনিক ও

NNP কি? || NNP কাকে বলে? || What Is Net National Product? || GNP ও NNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?

 NNP কি? || NNP কাকে বলে: NNP(Net National Product ): মােট জাতীয়  উৎপাদন থেকে মূলধন সামগ্রীর ব্যবহারজনিত ব্যয় বা  জাতীয় অবচয় ব্যয় বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে   তাকে নিট জাতীয় উৎপাদন ( NNP ) বলে ।  NNP  কে " purest form of income"  বলা হয়।  কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন অর্থনীতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য ( GNP ) থেকে মূলধন সামগ্রীর ব্যবহারজনিত ব্যয় ( Capital Consumption Allowance - CCA ) বা অবচয় ব্যয় ( Depreciation cost ) বাদ দিলে যা থাকে তাকে বদ্ধ অর্থনীতির প্রেক্ষিতে নিট জাতীয় উৎপাদন বলে । মুক্ত অর্থনীতিতে NNP বের করার জন্য নিট রপ্তানি        ( X - M) যােগ করতে হয় । ●সমীকরণের সাহায্যে:  NNP = GNP - CCA বা DC  , বা'NNP = C + I + G + ( X - M ) – CCA বা DC ; মুক্ত অর্থনীতি বা , NNP = C + I + G - CCA . বদ্ধ অর্থনীতি । কারণ বদ্ধ অর্থনীতিতে GNP = GDP হয়।    এক্ষেত্রে , X = রপ্তানি বা বিদেশে নিয়ােজিত দেশীয় উপকরণগুলাের আয়  । M = আমদানি বা দেশে নিয়ােজিত বিদেশী উপকরণগুলাের আয় নির্দেশ করে । CCA বা DC হল মূলধন সামগ্রীর ব্যবহারজনিত ব্য

নদী শব্দটির প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ কি কি?

নদী শব্দটির প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ কি কি? নদী শব্দটির প্রতিশব্দ: নদী  শব্দটি বিশেষ্য পদ, এখানে মোট ১৭টি, নদী শব্দটির সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে। ●নদ                        ●তটিনী ●প্রবাহিণী                  ●তরঙ্গিনী ●স্রোতস্বিনী              ●শৈবলিনী ●স্রোতস্বতী              ●নির্ঝরিণী ●গাঙ                       ●সরিৎ ●সমুদ্রকান্তা           ●সমুদ্রদয়িতা ●স্রোতোবহা           ● নদনদী ●মন্দাকিনী           ●কল্লোলিনী ●দরিয়া আর ও পড়ুন... চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?   বিপরীত শব্দ কাকে বলে? || বিপরীত শব্দ কি? || বিপরীত শব্দের গঠন প্রনালী ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর?  

চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?

চাঁদ শব্দের  প্রতিশব্দ: চাঁদ  শব্দটি বিশেষ্য পদ।এখানে মোট ২৪টি, চাঁদ শব্দটির সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ দেওয়া হয়েছে।      ●চন্দ্র,                         ● চন্দ্রমা,     ●শশী,                         ● শশধর,      ● শশাঙ্ক,                       ●শুধাংশু,    ●হিমাংশু,                     ●সুধাকর,   ●সুধাংশু,                       ●হিমাংশু,   ●সোম,                           ●বিধু,   ●ইন্দু,                             ●নিশাকর,  ●নিশাকান্ত,                    ●মৃগাঙ্ক, ● রজনীকান্ত                  ●দ্বিজরাজ ●জ্যোৎস্নানাথ                 ●রাকেশ  ●তারাপতি                     ●সুধাময়  ●নিধি                             ●তারানাথ   আর ও পড়ুন... বিপরীত শব্দ কাকে বলে? || বিপরীত শব্দ কি? || বিপরীত শব্দের গঠন প্রনালী ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর?   প্রতিশব্দ /সমার্থক শব্দ কাকে বলে? || প্রতিশব্দের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা  

বিপরীত শব্দ কাকে বলে? || বিপরীত শব্দ কি? || বিপরীত শব্দের গঠন প্রনালী ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর?

বিপরীত শব্দ কাকে বলে?||বিপরীত শব্দ কি: বিপরীত - শব্দ বা বিপরীতার্থক  শব্দ (antonym ): একটি শব্দ যে ভাব বা অর্থ প্রকাশ করে অন্য একটি শব্দ তার বিপরীত ভাব বা অর্থ বােঝালে শব্দ দুটিকে পরস্পরের  বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত - শব্দ' ( antonym ) বলা হয় ।বিপরীত শব্দগুলাের কিছুকিছু ভিন্নশব্দ , আবার কতগুলাে বিভিন্ন উপসর্গ যােগে গঠিত হয়।   অথবা , একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বলে । অথবা , যে সব শব্দ অন্য কোনাে শব্দের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে তাদেরকে বিপরীত - শব্দ ' বা বিপরীতার্থক শব্দ। উদাহরণঃ সুখ - দুঃখ , উত্তম - অধম , অর্থ - অনর্থ , অবনত - উন্নত , আয় - ব্যয় , আদি - অন্ত , একাল - সেকাল , অধিক – অল্প  জীবিত - মৃত , কম - বেশি , সবল দল ইত্যাদি । ড. সুনীতিকুমারের মতে, দুটি শব্দের অর্থ পরস্পর বিপরীত হইলে, শব্দ দুটিকে বলা হয় বিপরীতার্থক শব্দ। ড. সুকুমার সেনের মতে, কোন শব্দ অন্য একটি শব্দের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করলে সে শব্দ দুটিকে পরস্পরের বিপরীতার্থক বা বিপরীত শব্দ বলে। বিপরীত শব্দের গঠন প্রনালীঃ বিভিন্ন উপায়ে বিপরীত শব্দ গঠন করা যেতে পা

প্রতিশব্দ /সমার্থক শব্দ কাকে বলে? || প্রতিশব্দের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

 প্রতিশব্দ /সমার্থক শব্দ কাকে বলে: প্রতিশব্দঃ একটি শব্দের একই অর্থ বুঝাবার জন্য বাংলা ভাষায় একাধিক শব্দ রয়েছে, এদেরকে প্রতিশব্দ বলে। প্রতিশব্দকে সমার্থক শব্দও বলা হয়। অর্থাৎ,একাধিক শব্দ একই অর্থ বহন করলে তাদের প্রতিশব্দ বলে।শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ জানা থাকলে বাক্যে কখনো একই শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটে না। উদাহরণ: ☆পৃথিবীর প্রতিশব্দ হচ্ছে           ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, ধরিত্রী, জগৎ, ধরা, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল ।  ☆পর্বতের প্রতিশব্দ হচ্ছে গিরি, পাহাড়, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, অচল, শৃঙ্গধর, শৈল, মহীধর, মহীন্দ্র। ☆নদীর প্রতিশব্দ হচ্ছে তটিনী, তরঙ্গিণী, প্রবাহিণী, শৈবলিনী, সরিৎ, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, নির্ঝরিণী। ☆সাগররের  প্রতিশব্দ হচ্ছে সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব, জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর,  দরিয়া, বারীন্দ্র, জলধি, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি। ☆চন্দ্রের প্রতিশব্দ হচ্ছে চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু,

দাম শব্দের উৎপত্তি || দাম শব্দটি বাংলায় কিভাবে এসেছে?

দাম শব্দের উৎপত্তিঃ হাজার বছরের ভাষা বাংলা । বিবর্তনের নানা পর্যায় অতিক্রম করে এ ভাষা আজকের রূপে বিকাশলাভ করেছে । এ ভাষায় বিকাশ ও বিবর্তনের ধারায় এসে মিশেছে বিভিন্ন ভাষার শব্দাবলি । কালের বিবর্তনে সে সব শব্দ আজ বাংলা ভাষার নিজের হয়ে গেছে । তবে ব্যুৎপত্তি বিশ্লেষণে সে সব শব্দকে তার মূল পরিচয়েই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে । যেসব শব্দ প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে কৃতঋণ শব্দ হিসাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে সেসব শব্দকে কৃতঋণ তদ্ভব বা বিদেশী তদ্ভব শব্দ বলা হয়। যেমন – গ্রীক -দ্রাখমে > সংস্কৃতি- দ্রম্য > প্রাকৃত- দম্ম > বাংলা- দাম। দাম’প্রতিদিনের শব্দ আমাদের। ‘দাম’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ভাষার ‘দ্রাখমে’ (একরকম মুদ্রা, টাকা) থেকে। ‘দ্রাখমে’ সংস্কৃতে হয় ‘দ্রম্য’। প্রাকৃতে ‘দম্ম’। বাঙলায় ‘দাম’। অর্থাৎ রাজনৈতিক , ধর্মীয় , সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে । এরকমই এক শব্দ হচ্ছে দাম। দাম’ শব্দটি বাংলায় এসেছে গ্

মুদ্রানীতি কাকে বলে? || মুদ্রানীতি কি?( What is Monetary Policy?) || মুদ্রানীতির উদ্দেশ্য কি? || মুদ্রানীতির লক্ষ্য সূমহ কি কি?(What is the Objectives of Monetary Policy)

মুদ্রানীতি কাকে বলে? ||  মুদ্রানীতি কি?( What is Monetary Policy ): মুদ্রানীতিঃ( Monetary Policy): মুদ্রানীতি বলতে সংক্ষেপে সরকারের অর্থ সংক্রান্ত নীতিকেই বুঝায় । অর্থাৎযে নীতির সাহায্যে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালনা এবং মুদ্রার যোগান ও ঋণের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জন করা হয় তাকে মুদ্রানীতি বলে।  অর্থনীতি র ভাষায়, মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য দুটি , তা হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা বা এগিয়ে নিতে সহায়তা করা। বাজারে অতিরিক্ত মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে গেলে মুদ্রাস্ফীতি হয়। এতে মুদ্রার মান কমে যায় এবং মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়ে ●অধ্যাপক আর.পি.কেন্ট বলেন, “ পূর্ণ নিয়োগের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচলিত অর্থের যোগানের পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধির পরিচালনার নীতিকে মুদ্রানীতি বলা হয়।  ●অধ্যাপক এ . জি জনসন বলেন “ আর্থিকনীতি হলাে এমন এক ধরনের নীতি যার দ্বারা কেন্দ্রীয় অর্থের যােগান নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কতকগুলাে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে ” ●ডঃ পল এনজিগ বলেন “ কোন সমাজের আওতাধীন মুদ্রা ব্যবস্থা

GDP ও GNP কাকে বলে? || GDP ও GNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?

মােট জাতীয় উৎপাদন ( Gross National Product -GNP)ও মোট দেশীয় উৎপাদন ( Gross domestic product - GDP ) কাকে বলে: মােট জাতীয় উৎপাদন ( Gross National Product -GNP):  একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে দেশের জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের মােট দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থ মূল্যকে মােট জাতীয় উৎপাদন ( GNP ) বলে। জাতীয় উৎপাদন হিসাব করার সময় দ্বৈত গণনা পরিহার করার জন্য কেবলমাত্র চূড়ান্ত  দ্রব্যসামগ্রী হিসাব করা হয় । জাতীয় উৎপাদন পরিমাপের ক্ষেত্রে বিদেশে দেশী বিনিয়ােগ থেকে সৃষ্ট উৎপাদন মূল্য ধরা হয় , কিন্তু দেশে বিদেশী বিনিয়ােগ থেকে সৃষ্ট উৎপাদন মূল্য বাদ দেয়া হয় ।  অর্থাৎ - GNP = GDP + ( X - M ) "  GNP = মােট জাতীয় উৎপাদন , GDP = মােট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন , x = বিদেশে দেশী বিনিয়ােগ থেকে সৃষ্ট আয় ,M = দেশে বিদেশী বিনিয়ােগ থেকে সৃষ্ট আয় । GNP ধারণাটিকে দুভাবে পরিমাপ করা যায়:  যথা  ব্যয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে :  GNP = C + I + G এক্ষেত্রে , C = মােট বেসরকারি ভোগ ব্যয় ( Consumption ) T = মােট বেসরকারি বিনিয়ােগ ব্যয় ( Investment ) G = মােট স

জাতীয় আয়ের চক্রাকার প্রবাহ কি? || (What is National Income Circular Flow?)

Image
জাতীয় আয়ের চক্রাকার প্রবাহ:(National Income - Circular Flow উৎপাদন বা ব্যবসায় ক্ষেত্রের সাথে নাগরিক ও পারিবারিক ক্ষেত্রের  বিনিময় প্রবাহকে জাতীয় আয়ের চক্রাকার প্রবাহ বলে । ●জাতীয় আয়ের চক্রাকার প্রবাহ ধারণাটি সর্ব প্রথম প্রফেসর পি . এ . স্যামুয়েলসন ( Prof . P . A . Samuelson ) প্রদান করেন ।  তার মতে , “ জাতীয় আয় হল একটি প্রবাহ ধারণা ( National Income is a flow concept ) , যার মধ্যে সন্নিবিষ্ট রয়েছে উৎপন্ন সামগ্রীর প্রবাহ ও উৎপাদন কাজে নিযুক্ত উপকরণগুলাের আয়ের প্রবাহ।  ● এই ধারণা সম্পর্কে আর . জি . লিপসি ( R . G . Lipsey ) বলেন , “ আয়ের চক্রাকার প্রবাহ দেশের পরিবারবর্গ হতে দেশের ফার্ম বা উৎপন্ন  খাতসমূহের কাছে অর্থ প্রবাহ এবং এর বিপরীত প্রবাহ প্রক্রিয়া হল জাতীয় আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ । ”  উপরের সংজ্ঞাদ্বয় পর্যালােচনা করলে বলা যায় ,  জাতীয় আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহে দ্বিমুখী প্রবাহ রয়েছে । যথাঃ ( ক ) দ্রব্য ও সেবা প্রবাহ ( Goods and services flow )  ( খ ) আর্থিক আয় প্রবাহ ( Income or earning flow )  এ দুটি খাতের মধ্যে কীভাবে আয় ব্যয়ের

অর্থনীতিতে জাতীয় আয় বলতে কী বোঝায়? || জাতীয় আয়ের সংজ্ঞা দাও? (Definition of National Income?) || জাতীয় আয় কাকে বলে? || জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতিগুলো কী কী?(What is the Method of estimating National Income)?

অর্থনীতিতে জাতীয় আয় বলতে কী বোঝায় || জাতীয় আয় কাকে বলে:   জাতীয় আয় (National Income ):   কোন দেশের জনসাধারণের অর্থনৈতিক কার্যাবলির মাধ্যমে প্রতি বছর যে দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদিত হয় তার আর্থিক মূল্যকে সাধারণত জাতীয় আয় বলে ।    অর্থাৎ একটি দেশে এক বছর সময়ের মধ্যে উৎপাদিত চাল , ডাল , যন্ত্রপাতি , দালানকোঠা ইত্যাদি দ্রব্যের আর্থিক মূল্য এবং চিকিৎসা , শিক্ষকতা প্রভৃতি সেবাকর্মের আর্থিক মূল্য একত্রে যােগ করে জাতীয় আয় পাওয়া যায় । সমাজে মানুষের বিভিন্ন চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদিত হয় । তাই জাতীয় আয় কোন স্থায়ী ভাণ্ডার নয় । এটি একটি অবিরাম প্রবাহ ।   বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ জাতীয় আয়ের বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেন ।   ●উৎপাদনের দিক থেকে , অধ্যাপক মার্শালের মতে , “ কোন দেশের শ্রম ও মূলধন তার প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে নানাবিধ সেবাসহ নিট যে পরিমাণ চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন করে , তাকেই জাতীয় আয় বলে। " ( " The labour and capital of a country acting on its natural resources , produce annually a

চাহিদা বৃদ্ধি জনিত ও ব্যয় বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পার্থক্য কি ? || (What is the Difference between Demand pull and Cost push Inflation)?

Image
চাহিদ বৃদ্ধিজনিত এবং ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির পার্থক্য(Difference between Demand pull and Cost push Inflation) : অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি কেন ঘটে তার ব্যাখা হিসেবে সচরাচর ব্যয় বৃদ্ধিজনিত এবং চাহিদ বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির কথা বলা হয় ।  নিম্নে এ দুই প্রকার মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করা হলাে - ১।সংজ্ঞাগত পার্থক্য :  সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে যে মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি হয় তাকে চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাফীতি বলা হয় ।   পক্ষান্তরে , উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে যে মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি হয় তাকে ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি বলা হয় ।  ২ । পূর্ণ নিয়ােগঃ   চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে পূর্ণ নিয়ােগ বলতে এমন অবস্থাকে বুঝানাে হয় যখন চাহিদার প্রেক্ষিতে দ্রব্যের যােগান পুরােপুরি অস্থিতিস্থাপক হয় ।  পক্ষান্তরে ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে পূর্ণ নিয়ােগ বলতে এমন অবস্থাকে বুঝানাে হয় যখন চলতি নিয়ােগ এর স্বাভাবিক স্তরের নিচে থাকে অথবা বেকার শ্রমিকদের মধ্যে নিয়োগ পেতে চাওয়া শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ােগযোগ্য পদ সংখ্যার সমান থাকে । 

চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বুঝ ? || (What is meant Demand pull inflation and Cost push inflation?)

Image
চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যয় বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বুঝ  || (What is meant Demand pull inflation and Cost push inflation): চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি(Demand pull inflation): অর্থনীতিতে সামগ্রিক যােগানের তুলনায় সামগ্রিক চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পেলে দ্রব্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ের প্রতি ক্রেতার আগ্রহ বৃদ্ধি পায় যা মূল্যস্তর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্তর বৃদ্ধির এরূপ প্রবণতাকে চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি বলা হয় ।  অর্থনীতিতে সাধারণত অবস্থায় সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি , অর্থের যােগান বৃদ্ধি , বেসরকারি ভােগ ও বিনিয়ােগ বৃদ্ধি , কর হার হ্রাস , সুদের হার হ্রাস ইত্যাদি কারণে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সামগ্রিক যোগান স্থির থাকা অবস্থায় প্রচলিত মূল্যস্তরে এরূপ অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মূল্যস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চাহিদা বৃদ্ধি জনিত  মুদ্রাস্ফীতি  সৃষ্টি করে ।  কেইনসের মতে , অর্থনীতিতে পূর্ণ নিয়ােগ অবস্থায় সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি হেতু দ্রব্য ও সেবা সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা যায় তাকে চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মুদ্র

মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান বা ফাঁক কি?(What is Inflantionary gap?) || মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান উৎপত্তির কারণ কি?(What is the Causes of Inflantionary gap)?

Image
মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান বা ফাঁক কি(What is Inflantionary gap): মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান বা ফাঁক: লর্ড কেইনস “ মুদ্রাস্ফীতির ফাঁক ” ধারণার প্রবক্তা । কেইনস তার How to pay নামক পুস্তকে সর্বপ্রথম ইহা ব্যাখ্যা করেন । মুদ্রাস্ফীতির ফাঁককে কেহ সরকারি ব্যয় ও সমাজে প্রাপ্ত প্রকৃত সম্পদের প্রেক্ষিতে পর্যালােচনা করেছেন । আবার কোন কোন অর্থনীতিবিদ একে সামগ্রিক যােগানের উপর অতিরিক্ত চাহিদার আলােকে ব্যাখ্যা করেছেন । কে কে কুরিহারা , অধ্যাপক ফ্লেইন প্রভৃতি অর্থনীতিবিদ মুদ্রাস্ফীতির ফাঁক নিয়ে পর্যালােচনা করেছেন । মুদ্রাস্ফীতির ফাঁক এমন অবস্থা নির্দেশ করে যখন চলতি মূল্যে পূর্ণনিয়ােগ স্তরের মােট উৎপাদনের চেয়ে সামগ্রিক ব্যয় বেশি হয় । কেইনসের মতে “ ভিত্তি বছরের দামে যে দ্রব্য সামগ্রি পাওয়া যায় তা অপেক্ষা সম্ভাব্য ব্যয়ের বাড়তিটুকুই হল মুদ্রাস্ফীতির ফাঁক ।অর্থাৎ সমাজের মােট ব্যবহার যােগ্য আয় এবং ভিত্তিমূলক দামস্তরে ভােগ্য পণ্যের মােট দামের মধ্যে যে ব্যবধান তাহাই হল মুদ্রাস্ফীতি ফাঁক  ।   ১৯৪১ সনে ব্রিটেনের চ্যানােলর অভ দি এক্স চেকার তার বাজেট বক্তৃতায় “ মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান কথাটি

মুদ্রাসংকোচন বলতে কী বোঝায়?( What is meant by Deflation?) || মুদ্রাসংকোচন কাকে বলে? || মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাসংকোচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর?

Image
মুদ্রাসংকোচন বলতে কী বোঝায়?( What is meant by Deflation?): মুদ্রাসংকোচন (Deflation ):  মুদ্রাসংকোচন হল মুদ্রাস্ফীতির বিপরীত ধারণা । যখন দেশে দ্রব্যসামগ্রীর যােগান অপেক্ষা অর্থের যােগান কম হয় , এর ফলে দামস্তর ক্রমাগত ও অব্যাহতভাবে হ্রাস পেতে থাকে তখন তাকে মুদ্রাসংকোচন বলে । এই অবস্থায় উৎপাদন ও আয় হ্রাস পায় , বেকারত বদ্ধি পায় , জাতীয় আয় ক্রমশ হ্রাস পায় এবং সকল অথনৈতিক । কর্মকাণ্ড নিম্নগামী হয়। অর্থনীতিবিদ পল এইনজিগ ( Paul Einzig ) - এর মতে , “ মুদ্রাসংকোচন এরূপ একটি অভারসাম্য যেখানে মূল্যস্তরের নিম্নমুখিতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অর্থনৈতিক শক্তি সঙ্কুচিত হয়ে আসে ।"   অধ্যাপক স্যামুয়েলসনের মতে , “ মুদ্রা সংকোচন বলতে এমন অবস্থা বােঝায় যখন অধিকাংশ দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেতে থাকে । ” ( " By deflation we mean a time when most price and costs are falling . " - Samuelson . ) ।  অতএব সংক্ষেপে বলা যায় , যখন কোন দেশে দ্রব্যের যােগান অপেক্ষা মুদ্রার যােগান কম হয় এবং মূল্যস্তরের ক্রমাবনতি ঘটে , তখন তাকে মুদ্রা সংকোচন ( Deflation ) বলা হয় ।

মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বুঝায়?(What is meant by Inflation?) || মুদ্রাস্ফীতি কত প্রকার ও কি কি?

Image
মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বুঝায়: মুদ্রাস্ফীতি (inflation): সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থা বুঝায় যখন দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকরূপে বেড়ে যায় এবং অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে । ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদদের মতে , অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিই হল মুদ্রাস্ফীতি অর্থাৎ কোন দেশে মােট অর্থের যোগান তার চাহিদার তুলনায় বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় । নিম্নে মুদ্রাস্ফীতির কয়েকটি প্রামাণ্য সংজ্ঞা প্রদান করা হলাে - ●অধ্যাপক স্যামুয়েলসন এর ভাষায় , “ অধিকাংশ দ্রব্যসামগ্রী ও উৎপাদনের উপাদানগুলাের দাম বৃদ্ধিকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয় । ” ● অধ্যাপক পিগু বলেন , “ উৎপাদন প্রচেষ্টা অপেক্ষা মানুষের আর্থিক আয় যদি বেশি হয় তবে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় । ” ●অধ্যাপক গ্রেগরী বলেন “ ক্রয় ক্ষমতার অস্বাভাবিক পরিমাণ বৃদ্ধিই হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি ” । ●অর্থনীতিবিদ কুলবর্ন এর মতে , “ মুদ্রাস্ফীতি হল এরূপ একটি পরিস্থিতি যেখানে অত্যাধিক পরিমাণ অর্থ অতি সামান্য পরিমাণ দ্রব্য  সামগ্রীর পশ্চাতে ধাবিত হয় । ” ●অর্থনীতিবিদ ক্রাউথার - এর মতে “ মুদ্রাস্ফীতি এমন একটি অবস্থা যখন অর্থের মূল্য ক্

মুদ্রাস্ফীতি কি?(What is Inflation?) || মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে? || মুদ্রাস্ফীতির সংজ্ঞা দাও?

Image
মুদ্রাস্ফীতি কি(What is Inflation): মুদ্রাস্ফীতি (inflation ): সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থা বুঝায় যখন দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকরূপে বেড়ে যায় এবং অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে । ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদদের মতে , অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিই হল মুদ্রাস্ফীতি অর্থাৎ কোন দেশে মােট অর্থের যোগান তার চাহিদার তুলনায় বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় । নিম্নে মুদ্রাস্ফীতির কয়েকটি প্রামাণ্য সংজ্ঞা প্রদান করা হলাে - ●অধ্যাপক স্যামুয়েলসন এর ভাষায় , “ অধিকাংশ দ্রব্যসামগ্রী ও উৎপাদনের উপাদানগুলাের দাম বৃদ্ধিকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয় । ” ● অধ্যাপক পিগু বলেন , “ উৎপাদন প্রচেষ্টা অপেক্ষা মানুষের আর্থিক আয় যদি বেশি হয় তবে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় । ” ●অধ্যাপক গ্রেগরী বলেন “ ক্রয় ক্ষমতার অস্বাভাবিক পরিমাণ বৃদ্ধিই হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি” । ●অর্থনীতিবিদ কুলবর্ন এর মতে , “ মুদ্রাস্ফীতি হল এরূপ একটি পরিস্থিতি যেখানে অত্যাধিক পরিমাণ অর্থ অতি সামান্য পরিমাণ দ্রব্য  সামগ্রীর পশ্চাতে ধাবিত হয় । ” ●অর্থনীতিবিদ ক্রাউথার - এর মতে “ মুদ্রাস্ফীতি এমন একটি অবস্থা যখন অর্থ

উপযোগ বলতে কী বুঝায়?(what is meant by utility?) || উপযোগ কাকে বলে? || উপযোগ কী?উপযোগ কত প্রকার?

 উপযোগ বলতে কী বুঝায়?(what is meant by utility?): উপযোগ (Utility): সাধারণ অর্থে উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্যের উপকারিতাকে বোঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উপযোগ কথাটির বিশেষ অর্থ বহন করে ।অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্য বা সেবা সামগ্রীর মধ্যে ভোক্তার অভাব পূরণ করার যে ক্ষমতা থাকে, তাকে উপযোগ (Utility) বলে। যেমন– খাদ্য মানুষের ক্ষুধার অভাব পূরণ করে, কিংবা শিক্ষা মানুষের জ্ঞানের অভাব পূরণ করে থাকে। খাদ্য অথবা শিক্ষার এরূপ অভাব পূরণের ক্ষমতাকেই উপযোগ (Utility) বলে।অর্থনীতিতে উপযোগ ধারণার সঙ্গে নৈতিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। অতএব নৈতিকতার প্রশ্নে না গিয়ে অতি সহজভাবে বলতে পারি, দ্রব্য বা সেবার যে ক্ষমতা মানুষের অভাব মেটাতে সক্ষম, সে ক্ষমতাকেই অর্থনীতিতে উপযোগ বলে। অর্থনীতিবিদ মেয়ার্স বলেন,"উপযোগ হল কৌন দ্রব্যের ঐ বিশেষ গুন বা ক্ষমতা যা মানুষের অভাব পূরন করতে পারে"। উপযোগ এর বৈশিষ্ট্য: উপযোগের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে তুলে ধরে হলো– ●উপযোগ সংখ্যার মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য। ●উপযোগ অর্থের মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য। ●অর্থের প্রান্তিক উপযোগ স্থির। ●উপযোগ একটি মানসিক ধারণা।●ভোগের মাধ্যমে উপযোগ প্রকাশ পায়।●

নিরপেক্ষ রেখা ও বাজেট রেখার মধ্যে পার্থক্য কি ? || (What is the Difference between Indifference curve and Budget line)?

Image
নিরপেক্ষ রেখা এবং বাজেট রেখার মধ্যে পার্থক্য :(Difference between Indifference curve and Budget line)   ভােক্তার বাজেট রেখা নির্দিষ্ট আয়ে দুটি পণ্যের সর্বোচ্চ ক্রয়  ক্ষমতা নির্দেশ করে।  পক্ষান্তরে , নিরপেক্ষ রেখার প্রতিটি বিন্দু দুটি পণ্যের সংমিশ্রণ  নির্দেশ করে  যা  থেকে ভােক্তা সমান উপযোগ লাভ করে । নিরপেক্ষ রেখা ও বাজেট রেখা   ক ) চিত্রে ভােক্তার বাজেট রেখা ( AB ) এবং ( খ ) চিত্রে ভােক্তার নিরপেক্ষ রেখা ( IC ) পাশাপাশি অংকন করা হয়েছে । উভয় রেখাই বা থেকে ডানে নিম্নগামী । অর্থাৎ উভয় রেখার ঢাল ঋণাত্মক । কিন্তু তা সত্ত্বেও বাজেট রেখা এবং নিরপেক্ষ রেখার মধ্যে নিম্নরূপ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে । যেমন ●১। বাজেট রেখার ঢাল সকল বিন্দুতে সমান থাকে । কিন্তু নিরপেক্ষ রেখার ঢাল সকল বিন্দুতে সমান থাকে না । ●২ . বাজেট রেখা সরল আকৃতির হয় ।  কিন্তু , নিরপেক্ষ রেখা সাধারণত মূল বিন্দুর দিকে উত্তল হয়ে থাকে । ●৩ . বাজেট রেখার সকল বিন্দু ভােক্তার সমান ক্রয় ক্ষমতা নির্দেশ করে ।  পক্ষান্তরে , নিরপেক্ষ রেখার সকল বিন্দু সমান উপযােগ নির্দেশ করে । ●৪ . বাজেট রেখার ঢাল দু

Popular posts from this blog

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে? || রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? (What is Political Science?)

চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?

GDP ও GNP কাকে বলে? || GDP ও GNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?