DSE কি? || ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( Dhaka Stock Exchange ) এর কার্যাবলী?
DSE কি? || ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( Dhaka Stock Exchange ) এর কার্যাবলী:
DSE(Dhaka Stock Exchange):
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসই বাংলাদেশের প্রধান ও প্রথম শেয়ার বাজার। দ্বিতীয় শেয়ার বাজার হচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসই ঢাকার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত। ১৯৫৪ সালে এটি গঠিত হয়।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডি এস ই) “পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি” হিসাবে নিবন্ধিত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ “আর্টিকেলস অফ রুলস এন্ড রেগুলেশন্স এন্ড বাই-লজ”, “সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯”, “কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪” এবং “সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩” দ্বারা শাসিত হয়ে থাকে।
১৮ আগস্ট, ২০১০ তারিখ পর্যন্ত এতে ৭৫০টিরও অধিক তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে পুঁজি বাজারে ৫০.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে।
এপ্রিল, ২০১২ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৩৫টি কোম্পানি, ৪০টি মিউচুয়াল ফান্ডস এবং ৮টি ডিবেঞ্চার তালিকাভুক্ত হয়েছে। এগুলির মোট মার্কেট পুঁজির পরিমাণ ৩২.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা বোর্ড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) এর প্রশাসনিক ও অন্যান্য সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে ১২ জন সদস্য ব্রোকারদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন এবং ১২ জন সদস্য এসইসি’র অনুমোদনক্রমে এক্সচেঞ্জের বাইরে থেকে বাছাই করা হয়। পরিচালনা্ বোর্ডের অপর সদস্য হচ্ছেন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তাঁর কোন ভোটদানের ক্ষমতা নাই। পরিচালনা বোর্ড তিন বৎসর মেয়াদের জন্য গঠন করা হয়।
বর্তমানে ডিএসইর সদস্য সংখ্যা ২৩৬, এর মধ্যে ২১৮ জন সদস্য সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছেন। অবশ্য সংঘস্বারক অনুযায়ী বাকি ১৪টি সদস্যপদ বর্তমানে বিক্রয়ের প্রক্রিয়ায় আছে। এর সকল সদস্যই ব্রোকার যদি তারা এসইসি’র লাইসেন্স নিয়ে এক্সচেঞ্জে লেনদেনের কাজ করে থাকেন। সব ব্রোকার এসইসির লাইসেন্সধারী, অনেকে ডিলার হিসাবেও কাজ করেন। ডিলাররা তাদের স্ব-স্ব একাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারেন, যা ব্রোকাররা পারেন না। ব্রোকাররা শুধুমাত্র গ্রাহকদের পক্ষে বেচা-কেনা করতে পারেন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের ইস্যুকৃত শেয়ার এখন কাগুজে স্টক নয়। বর্তমানে সেগুলি সংশ্লিষ্ট তহবিলের ইউনিট হিসাবে কেন্দ্রীয় ডিপোজিটারি তহবিলের (সেন্ট্রাল ডিপোজিটারি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, সিডিবিএল) হিসাবে জমা থাকে। অর্থাৎ, স্টকস বা শেয়ারগুলো এখন কাগুজে নয়, বরং এগুলি ইলেকট্রনিক স্টকস এবং এর প্রতিটির হিসাব সিকিউরিটি ডিপোজিটারি আইন ১৯৯৯ এর আওতায় গঠিত পূর্বোল্লিখিত সিডিবিএল কর্তৃক রক্ষিত হয়। এসইসি সিডিবিএল-এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( Dhaka Stock Exchange ) এর কার্যাবলী:
অন্যান্যের মধ্যে যে সকল কার্যাবলী একটি স্টক এক্সচেঞ্জ-এ সম্পাদিত হয়, সেগুলি হচ্ছে:(১) শেয়ার, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডসহ সিকিউরিটিজগুলির তালিকাভুক্তকরণ।
(২) তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজগুলির লেনদেনের ব্যবস্থা করা।
(৩) লেনদেনের প্রকৃত সময়ে অনলাইন মার্কেটের প্রতি নজর রাখা, মনিটরিং করা এবং লেনদেন কার্যক্রমের বিধিবিধান প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
(৪) সম্পাদিত লেনদেন চূড়ান্ত করে নিস্পত্তি করা এবং
(৫) নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এর নির্দেশ অনুযায়ী যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আর ও পড়ুন...
Comments
Post a Comment