*করোনা ভাইরাস ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট *করোনা ভাইরাস রচনা (Coronavirus Essay) *অতিমারী কোভিড-১৯
*করোনা ভাইরাস ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
*করোনা ভাইরাস রচনা
(Coronavirus Essay) *অতিমারী কোভিড-১৯
ভূমিকা:
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে করোনা ভাইরাস। সংক্রামক জীবাণু করোনা ভাইরাস যে বৈশ্বিক মহামারীর সূচনা করেছে তা আজ সমগ্র মানবসভ্যতার চিন্তার বিষয়।
‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি’—একথা
আবারও সত্য হল সাম্প্রতিক অতিমারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে। আমরা বাঙালিরা যে
ধৈর্য, সাহস ও উদ্যম দেখিয়েছি তাতে বিশ্বের মধ্যে আমাদের সেরে ওঠার নিরিখে তথা
করোনাকে জয় করার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে রয়েছি। এর কারণ আমাদের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বিশ্বায়ন উত্তরকালে পৃথিবী যখন একটি মাত্র একক, সেখানে এ ধরনের রোগের আক্রমণ থেকে
নিজেদের বাঁচাতে গেলে চাই যথাযথ পরিকল্পনা ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সম্যক সচেতনতা।
তাহলেই অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এইসব অতিমারীর ক্ষেত্রেও আমরা বলতে পারব—বাংলাদেশ
আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিবে।
করোনা ভাইরাসের উৎস:
করোনাভাইরাস এর উৎস সম্পর্কে পৃথিবীজুড়ে আজও সমূহ
বিতর্ক বিদ্যমান। কারোর মতে এই ভাইরাস কৃত্রিম উপায়ে গবেষণাগারে তৈরি; আবার কোনো
কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন এই ভাইরাসের উৎস হলো বাদুড়। তবে কোন মহলই এই ব্যাপারে
ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি।
যে একটি ব্যাপারে মোটামুটি সকলেই নিশ্চিত তা হল এই
ভাইরাসের গ্রাউন্ড জিরো। অর্থাৎ এর সংক্রমণ সর্বপ্রথম কোথা থেকে শুরু হয়েছিল।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় চীন দেশের
হুনান প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি মাংসের বাজার থেকে। সেখান থেকেই এই ভাইরাস
মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে এক বিশ্ব মহামারী আকার ধারণ করে।
নামকরণ:
প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে করোনা এবং ভাইরাস দুটি
শব্দই লাতিন ভাষা থেকে গৃহীত। করোনা শব্দের অর্থ মুকুট বা crown এবং ভাইরাস বলতে
বোঝায় একপ্রকার অকোষীয় আণুবীক্ষণিক রোগ সৃষ্টিকারী বীজাণুকে যার আক্ষরিক অর্থ হল
‘বিষ’।
করোনাভাইরাস”
নামটির উৎপত্তি লাতিন শব্দ যার অর্থ ‘‘মুকুট’ বা মালা। নামটি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ভিরিয়নের (ভাইরাসের সংক্রামক আকার)
বৈশিষ্ট্যমূলক উপস্থিতিকে নির্দেশ করে। ভিরিয়নের বিশাল কন্দাকৃতি পৃষ্ঠ অভিক্ষেপযুক্ত
প্রান্ত রয়েছে যা মুকুটের স্মৃতি তৈরি করে। এর অঙ্গসংস্থান ভাইরাল স্পাইক পেপলোমিয়ার দ্বারা তৈরি হয়েছে যেগুলো মূলত ভাইরাসের পৃষ্ঠে
অবস্থিত প্রোটিন।
ভাইরাস জীবগোষ্ঠীর অন্তর্গত নাকি জড়, সে ব্যাপারে
বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিস্তর মতপার্থক্য আছে। তাই ভাইরাসকে একটি রোগ বহনকারী বীজাণু
রূপে ধরে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।অন্যদিকে, আমাদের আলোচ্য ভাইরাসটির নাম করোনা হওয়ার
কারণ হল এর আকৃতি।
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ এ পর্যবেক্ষিত এই ভাইরাসটির
শরীরজুড়ে খাজকাটা অসংখ্য কন্টক একে আপাতভাবে একটি রাজমুকুটের আকার দেয়। এই
ভাইরাসটি ভাইরাসগোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় আয়তনে বেশ খানিকটা বড়। এটি
ডায়ামিটারে ০.০৬ মাইক্রন থেকে ০.১৪ মাইক্রন বা গড়ে ০.১২৫ মাইক্রন পর্যন্ত হয়ে
থাকে।
লক্ষণ ও স্বরূপ :
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ
·
জ্বর
·
অবসাদ
·
শুষ্ক কাশি
·
বমি হওয়া
·
শ্বাসকষ্ট
·
গলা ব্যথা
·
অঙ্গ বিকল হওয়া
·
মাথা ব্যথা
·
পেটের সমস্যা
·
মুখ ও নাকের স্বাদ
হারিয়ে যাওয়া
·
হঠাৎই অচেতন হয়ে পড়ে
·
শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
·
কিছু রোগীর ক্ষেত্রে
উপর্যুক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে
ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর।এই ভাইরাস প্রথম প্রাণী থেকে সৃষ্ট হলেও তারপরে তা মানুষ থেকে
মানুষে সংক্রমিত হয় ও মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। ২০১৯ সালের
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চিনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে প্রথম তা শনাক্ত করা
হয়। পরে ভাইরাসটি চিনের মূল ভূখণ্ডের অন্যান্য প্রদেশ ও বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে
থাইল্যান্ড, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম আক্রান্তের খবর ১৭ই নভেম্বর, ২০১৯
তারিখে পাওয়া যায়। ২০২০-র ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই রোগকে
কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী জরুরি সতর্কতা জারি করে। ভাইরাসটির প্রজননের হার ১.৪ থেকে
৩.৯ পর্যন্ত বিস্তৃত।
সংক্রমণ:
করোনা
ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে প্রধানত দুই ধাপে ছড়াতে পারে।
*চতুর্থ
পর্যায়ে ভাইরাস থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে যদি কেউ নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করে তাহলে
তখনই ভাইরাস উন্মুক্ত শ্ৰেঝিল্পি দিয়ে দেহের ভিতর প্রবেশ করে গলায় ও ফুসফুসে বংশ
বিস্তার করে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার অন্যতম প্রধান কারণ
হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অভাবকে। এতে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গলা ব্যথা, জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্টের মতন উপসর্গগুলি
লক্ষ্য করা যেতে পারে। ভাইরাস ঘটিত এই রোগটির নির্দিষ্ট চিকিৎসা বলে এখনো অবধি কোন
কিছুকে চিহ্নিত করা যায়নি।
আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে উদ্রেক হওয়া জটিলতার
উপসর্গ অনুসারে ওষুধ প্রয়োগ করে রোগীর শরীরকে এক্ষেত্রে বাইরে থেকে প্রতিরোধমূলক
চিকিৎসা দেওয়া হয়। শরীর এই প্রতিরোধমূলক চিকিৎসার দ্বারা নিজেই নিজের ভিতর ধীরে
ধীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তোলে।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন রোগীকে সম্পূর্ণভাবে
আইসোলেশনে বা অন্তরীণ অবস্থায় থাকতে হয়। যদিও সম্প্রতি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে
যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দীর্ঘমেয়াদি
প্রভাব ফেলে যেতে পারে।
প্রতিরোধের
উপায়
*দ্বিতীয়ত,
মুখে ও নাকে মাস্ক পরে অপরের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
*
তৃতীয়ত, হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা এবং হাত স্পর্শ করার ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি
থেকে নিজেদের সচেতন রাখা। বাইরে থেকে এসে ব্যবহৃত জামাকাপড় পৃথক জায়গায় রেখে
গরম জলে সাবান দিয়ে কেচে ফেলা ও ব্যবহৃত সমগ্র জিনিষগুলি সযত্নে জীবাণুমুক্ত করে
ঘরে ঢুকা অত্যন্ত জরুরি।
*চতুর্থত,
বহু জনসমাগম-এর স্থান এড়িয়ে যাওয়া, বাইরে গিয়ে একজন থেকে আরেক জনের দূরত্ব বজায়
রাখা, হাসপাতালে ও নার্সিং হোমে গেলে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে আক্রান্ত
ব্যক্তির স্পর্শ এড়িয়ে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
*পঞ্চমত,
হোটেল, রেস্তোরায় গিয়ে খাওয়ার সময়, কিম্বা অফিসে বা কার্যালয়ে গিয়ে জল
খাওয়া বা আহার করার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি নজর দেওয়া দরকার।
*ষষ্ঠত,
নিজের চারদিকের পরিবেশ, আবাসস্থল জীবাণুমুক্ত রাখা, যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করেন না,
তাদের বোঝানো দরকার নিজের নাক কেটে তিনি যেন অপরের যাত্রাভঙ্গ না করেন। কারণ
সামাজিক সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে যেমন সচেতন হতে হবে অপরকেও সচেতন করতে
সচেষ্ট হতে হবে।
টিকাকরণ:
সমগ্র বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ গবেষণার পর পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছে। সর্বপ্রথম
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল দীর্ঘ গবেষণার পর করোনাভাইরাসের
একটি টিকা আবিষ্কার করে তার ট্রায়াল’ শুরু করে। এর পরবর্তীতে প্রথমে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া ও চীন নিজের স্বদেশে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক
প্রয়োগ শুরু করে দেয়।
রাশিয়াতে সর্বপ্রথম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কন্যা। আমাদের উপমহাদেশও ভ্যাকসিন আবিষ্কার
এবং তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেনি। ভারতের দুটি সংস্থা: সিরাম ইনস্টিটিউট
এবং ভারত বায়োটেক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভারতে তৈরি দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে আসে।
এর একটির নাম হলো কোভিশিল্ড এবং অপরটি ভারত
বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। প্রথমে পরীক্ষামুলকভাবে এর প্রয়োগ শুরু হয় এবং
ট্রায়ালের পর্যায় সফলভাবে শেষ হবার পর ধাপে ধাপে ব্যাপকহারে জনমানসে টিকাকরণ
শুরু হয়ে যায়।
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব:
প্রত্যক্ষ প্রভাব:
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ
প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারি। প্রত্যক্ষ প্রভাব রূপে আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি
আমাদের চোখের সামনে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘন জনবসতি
অঞ্চলে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
এই আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ
প্রতিদিন তাদের প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে
চিকিৎসা তথা পরিকাঠামোগত দুরাবস্থা ক্রমশ আরও প্রকট হচ্ছে। এমনকি উন্নত দেশগুলিও
বিপুল সংখ্যক রোগীদের পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। বিশ্বের
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে মানুষ মারা যাচ্ছেন বিনা চিকিৎসায়।
পরোক্ষ প্রভাব:
এদিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত
লকডাউন এর ফলস্বরূপ ছোট মাঝারি বিভিন্ন ধরনের শিল্প অস্তিত্বসংকটের মুখে পড়েছে।
বৃহৎ শিল্প গুলিও মূলধনের অভাবে ধুঁকতে শুরু করেছে। এগুলির সাথে যুক্ত অসংখ্য
মানুষের জীবিকাও পড়েছে প্রশ্নের মুখে। পৃথিবীজুড়ে বেকারত্ব অস্বাভাবিক রকমের
বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতি পড়েছে সংকটের মুখে। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের বুকে
থাবা বসাচ্ছে দারিদ্র, অনাহার, খাদ্যাভাব।
সমাজের বৈষম্যমূলক চিত্রটা দিন দিন আরো বেশি প্রকট
হচ্ছে। এরই পাশাপাশি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর
কালোবাজারী। মাস্ক বা স্যানিটাইজারের মত প্রতিরোধমূলক উপকরণগুলো ছাড়াও অতি
প্রয়োজনীয় টেস্টিং কিটের ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে দুর্নীতি।
অনির্দিষ্টকালব্যাপী লকডাউন এর কারণে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দৈনন্দিন সামগ্রী না পাওয়ার আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে বাড়িতে
পণ্য মজুত করে রাখার প্রবণতা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। সরাসরি যার সুযোগ নিয়েছে
কালোবাজারি মজুতদারেরা। ফলতই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে
যাওয়ার ঘটনাও চোখে পড়ছে।
কথায় বলে, সভ্যতা যখন
নিজের গতিকে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে করে, সৃষ্টি তখন সমগ্র সভ্যতাকে ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ
করে দেয়। একটি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক ভাইরাস যেন আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে এই
প্রবাদবাক্যের সত্যতাই প্রমাণ করে দিল। আবারো আমরা দেখতে পেলাম সৃষ্টির কাছে আমরা
ঠিক কতখানি অসহায়।
তবে মানুষের এই অসহায়তায় প্রকৃতি বিশ্বজুড়ে
দূষণকে কমিয়ে বায়ুকে আবারো বিশুদ্ধ করে তুলেছে ধীরে ধীরে। লকডাউনে শুনশান
হাইওয়েতে বন্য নীলগাইয়ের চরে বেড়ানো এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতেও আমাদের মুগ্ধ
করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনাভাইরাস পরবর্তী পৃথিবী আর আগের মতন থাকবে না।
রাজনৈতিক তথা আর্থসামাজিক দিক থেকে এই বিশ্বে হয়তো আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে।
মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রেও হয়তো আসবে জন্য
স্থায়ী পরিবর্তন। তবে একথা সত্যি যে এই দুর্যোগের মেঘ কাটিয়ে উঠে আমরা খুব
তাড়াতাড়ি আবার সুস্থ পৃথিবীতে শ্বাস নিতে পারব। নতুন নিয়মের সেই পৃথিবীতে
আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে সৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে সভ্যতার যাপনেই জীবনের
প্রকৃত সার্থকতা।
আরো পড়ুন......
Comments
Post a Comment