রচনা: শ্রমের মর্যাদা || জাতীয় জীবনে শ্রমের গুরুত্ব || The dignity of labor.

 রচনা: শ্রমের মর্যাদা ||জাতীয় জীবনে শ্রমের গুরুত্ব|| The dignity of labor

             
    রচনা: শ্রমের মর্যাদা(The dignity of labor)



১।ভূমিকা : 

"শ্রমই হল আমাদের সৌভাগ্যের জননী – “Industry is the mother of good luck”

শ্রম প্রতিটি মানুষের মধ্যেকার আশ্চর্য নিহিত শক্তি । এই শ্রমের শক্তিতেই মানুষ রচনা করেছে মানবসভ্যতার বুনিয়াদ । আদিম যুগে একদা পাথরের নুড়ি দিয়ে শ্রমের সাহায্যে মানুষ তৈরি করেছিল প্রথম হাতিয়ার । তারপর সুদীর্ঘকাল ধরে মানুষ তিল তিল শ্রমে গড়ে তুলেছে সভ্যতার বিরাট সৌধ । শ্রমের কল্যাণেই মানুষ পশুজগৎ থেকে নিজেকে করেছে পৃথক । মানুষ যে আধুনিক যন্ত্র চালায় , সূক্ষ্ম ছবি আঁকে , কিংবা অপরূপ সুরের ঝংকার তােলে — তার মূলে রয়েছে শ্রমের অবদান ।  বিশ্বসভ্যতার প্রতিটি সৃষ্টির মূলে রয়েছে শ্রম মানুষের অক্লান্ত শ্রম।  শ্রমের কথা বলতে গিয়ে আইনস্টাইন বলেছে-

"A hard working street-cleaner is a better man than a lazy scholar."

অর্থাৎ একজন পরিশ্রমী রাস্তার ক্লিনার অলস পণ্ডিতের চেয়ে ভাল। 


২। শ্রমের প্রকারভেদ:

শ্রম প্রধানত দুই ধরনের

১) শারীরিক শ্রম
২) মানসিক শ্রম

বেঁচে থাকার জীবন যুদ্ধে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় এই দুধরনের শ্রমেরই যথেষ্ট প্রয়োজন।গায়ে গতরে খাটা খাটুনি করে কাজ করা হল শারীরিক শ্রম। আর মাথার বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা হল মানসিক শ্রম।আদিম যুগে মানুষ যখন জঙ্গলে,গুহায় বসবাস করতো তখন শারীরিক শ্রমের উপর নির্ভর করেই মানুষের জীবন চলত।

*মানসিক শ্রম: 

মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার মেধা মনন দিয়ে যে শ্রম দেয় তাই মানসিক শ্রম। মানুষের জীবনে মানসিক শ্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক শ্রম ব্যতীত মানুষের মানসিক বিকাশ সম্ভব নয়। কথায় বলে- “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ শ্রমবিমুখ ব্যক্তির মনে কখনও ভালো চিন্তার উদয় হয় না। পক্ষান্তরে পরিশ্রমী ব্যক্তির মন সব সময় সতেজ হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও শিল্পীর পরিশ্রম মূলত মানসিক।

* শারীরিক বা কায়িক শ্রম: 

মানুষ তার শারিরীক শক্তি দিয়ে কোনো কাজে যে শ্রম দেয় তাই শারীরিক শ্রম। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য মানসিক ও শরীরিক দুই প্রকার শ্রমকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। মানসিক শ্রম মূলত কাজের প্রেরণা যোগায় আর শারীরিক শ্রম তা সমাধান করতে সাহায্য করে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের শরীরিক কাজকর্ম করার জন্য বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ দান করেছেন। এ সব ব্যবহার করে যে শ্রম দেয়া হয় তাই শারিরীক শ্রম।
তখন অন্যান্য সব বন্য প্রাণীর মতো মানুষেরও আত্মরক্ষা আর খাদ্য 

৩। শ্রমের ক্ষেত্র: 

"Man is the architect of this fortune" অর্থাৎ “মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্যনিয়ন্ত্রা”। এ কর্মমুখর জীবনে মানুষকে নিরন্তর কোনো না কোনো প্রতিকূল পরিবেশে বসবাস করতে হয়। "Life isnot a bed of rose" জীবন পুষ্প-শয্যা নয়। মানুষকে এ প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে হলে একমাত্র শ্রমের সাহায্যেই টিকে থাকতে হবে। তাই বলা যেতে পারে মানবজীবন মাত্রই শ্রমের কর্মশালা আর পৃথিবী হলো কর্মক্ষেত্র।

৪। শ্রম ও সভ্যতা:

 সৃষ্টির অনাদিকাল থেকে শুরু হয়েছে শ্রমের বন্যা, আজও তার শেষ নেই। বর্তমান শতাব্দীর উন্নতির মূলেও রয়েছে নিরলস শ্রমের অবদান। শ্রমজীবী মানুষই নতুন নতুন সভ্যতার সৃষ্টি করেছে। শ্রম শুধু মানুষের সৌভাগ্যের নিয়ন্ত্রকই নয়, সভ্যতা বিকাশেরও অন্যতম একটি হাতিয়ার। পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার মূলে রয়েছে মানুষের পরিশ্রম। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানি প্রভৃতি দেশ শ্রমের জন্যই উন্নত। আজ বিশ্বে তারা সভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় পেয়েছে শ্রমের কারণে। তাই আমাদের সভ্যতাকে বিকশিত করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে।


৫। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট : 

মানবসভ্যতা শ্রমেরই অবদান । কিন্তু শ্রমের প্রতি মনােভাব সবসময় একরকম ছিল । আদিম সমজে যৌথশ্রমের মূল্য ছিল । কিন্তু সমাজে শ্রেণিবিভেদ দেখা দিলে শ্রম মর্যাদা হারাতে থাকে । প্রাচীন রােম ও মিশরে শ্রমজীবীদের সামাজিক মর্যাদা ছিল না । তাদের গণ্য করা হতাে ক্রীতদাস হিসেবে । সামন্তযুগে কৃষকরাই শ্রমজীবীর ভূমিকা পালন করেছে । তারাও ছিল মর্যাদাহীন , শােষিত ও বঞ্চিত । শিল্পবিপ্লবের পর পুঁজিবাদী দুনিয়ার শ্রমিকরা শােষিত হলেও তারা গণতান্ত্রিক অধিকার লাভ করে । রুশবিপ্লবের পর শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হলে শ্রমিকরা মর্যাদা পায় সবচেয়ে বেশি । 

৬। শ্রমের জয়: 

এক সময় মানুষ অনেক ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করলেও তার যথাযথ প্রাপ্য ও মূল্যায়ন পেত না। তাদেরকে নানাভাবে শাসন ও শোষণ করা হতো। তাই মানুষ শ্রমের মর্যাদা লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে এবং আন্দোলনে লিপ্ত হয়। ১৮৮৫ সালের মে মাসে আমেরিকা-যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য দাবি পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে। এতে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হয়। ঐ দিন থেকে প্রতি বছর ১ মে বিশ্ব মে দিবস পালন করা হয় এবং শ্রমিকেরা শ্রমক্ষেত্রে তাদের ন্যায্য অধিকার লাভ করে। বিশ্ব মে দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হলো শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য তাদেরকে সচেতন করা।

৭। শ্রমের মহিমা : 

শ্ৰম কেবল সমৃদ্ধির উৎস নয় । তা মানুষকে দেয় সৃজন ও নির্মাণের অনিন্দ । মানুষ যে প্রতিভা নিয়ে জন্মায় তার বিকাশের জন্যও দরকার শ্রম । পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ গড়ে তােলে নিজের ভাগ্যকে । পৃথিবীতে যা - কিছু মহান সৃষ্টি তা মূলত শ্রমেরই অবদান । 

৮। শ্রমের গুরুত্ব : 

কথায় বলে "অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা"।  শ্রমহীন মানুষ শ্রমবিমুখ হয়ে পড়ে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "Man is the maker of his fate and God also helps those who help themselves." অর্থাৎ, মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্যের নির্মাতা, আর যে নিজেকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন। সুতরাং মানুষের ভাগ্য নির্মাণের জন্যে প্রয়োজন অক্লান্ত শ্রমের। শ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রমই মানুষের যথার্থ শাণিত হাতিয়ার। আদি অন্ধকার যুগ থেকে একবিংশ শতাব্দির নগরসভ্যাতার বিষ্ময়কর চোখ ধাদানো দৃশ্যমান অগ্রগতিতে শ্রমের অবদান কোনো অংশে কম নয়। শ্রমের গুরুত্ব বলতে গিয়ে Robert Louis Stevenson বলেছেন - 

If a man loves the labour of his trade, apart from any question of success or fame, the gods have called him.
দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্যে , সমাজ ও জাতির অগ্রগতির জন্যে শ্রম এক অপরিহার্য উপাদান । অজস্র মানুষের দেখা - অদেখা শ্রমের সমাহারের ওপর নির্ভরশীল আমাদের সবার জীবন ও কর্ম । তা দৈহিক ও মানসিক দু ধরনের শ্রমের অদৃশ্য যােগসূত্রে বাঁধা । এ কথা স্বীকার না করে আমাদের উপায় নেই যে , মজুর এবং ম্যানেজার , কৃষক এবং কৃষি অফিসার , কুলি এবং কেরানি , শিক্ষক এবং শিল্পী — কারাে কাজই সমাজে উপেক্ষার নয় । প্রত্যেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করলেই সমাজের অগ্রগতি সাধিত হয় । একথা মনে রেখে সবাইকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে


৯। ছাত্রজীবনে শ্রমের গুরুত্ব: 

ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ একজ ছাত্রের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত অধ্যায়ন করা। জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে ছাত্রজীবন থেকেই শ্রম দিতে হবে আর সেই শ্রম হবে  অধ্যায়ন করা।
ছাত্রজীবনে শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। অলস, কর্মবিমুখ ও হতাশ ছাত্রছাত্রী কখনও বিদ্যালাভে সফলতা লাভ করতে পারে না। একজন পরিশ্রমী ছাত্র বা ছাত্রী স্বল্প মেধাসম্পন্ন হলেও তার পক্ষে সাফল্য অর্জন করা কঠিন নয়। সমাজবিজ্ঞানী পার্সো বলেন- “প্রতিভা বলে কিছুই নেই, সাধনা কর; সিদ্ধি লাভ হবেই।”

১০।জাতীয় জীবনে শ্রমের গুরুত্ব: 

শ্রমহীন কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। তাই ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবন পর্যন্ত শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সমবেত পরিশ্রমের  মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি। শ্রমের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন করতে পারি। জাতীয় সম্পদের উন্নতির জন্য চাই সাধনা ও ধৈর্য। মূলত শ্রমের উপরই নির্ভর করে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মে শ্রমের মর্যাদা: সব ধর্মেই শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে। পবিত্র ইসলাম ধর্মেও শ্রমের মর্যাদার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) নিজের সকল কাজ নিজ হাতে করতেন। তিনি কোনো কাজকে ছোট মনে করতেন না। তিনি তাঁর সাহাবীদেরকেও নিজ হাতে কাজ করার জন্য উৎসাহ দিতেন। শ্রমের মর্যাদা দিতে গিয়ে মহানবী (স.) বলেছেন- “শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তার পাওনা পরিশোধ করে দাও।” আবার উপনিষদে বলা হয়েছে ‘শ্রম বিনা শ্রী হয় না’। এতে শ্রমের মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
 
১১। শ্রম বৈষম্য : 

মানব - ইতিহাসে দেখা যায় , পরজীবী শ্রেণি সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রমের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় সামাজিক অসাম্য । মজুর - চাষি - মুটে - কুলি , যারা কায়িক শ্রম করে তাদের অবস্থান হয় সমাজের নিচের তলায় । অন্নহীন , বস্ত্রহীন , শিক্ষাহীন মানবেতর জীবন হয় তাদের নিত্যসঙ্গী । অন্যদিকে পরজীবী শ্রেণি ডুবে থাকে বিলাসিতায় । সমাজে শ্রমজীবী মানুষের নিদারুণ দুরবস্থাই মানুষের মনে শ্রমবিমুখতার জন্ম দিয়েছে । কায়িক শ্রমের প্রতি সৃষ্টি হয়েছে একধরনের অবজ্ঞা ও ঘৃণার মনােভাব । এর ফল কল্যাণকর হতে পারে না । প্রত্যেক মানুষই নিজ নিজ যােগ্যতা ও শক্তি অনুসারে সমাজের সেবা করছে । কোনােটা দৈহিক কোনােটা মানসিক শ্রম । তাই কোনােটিকেই অবহেলা করা বা ছােট করে দেখার অবকাশ নেই । 

১২। শ্রম বিমুখতা:

“আলস্য আনে দারিদ্রতা,
পাপে আনে দুঃখ।
পরিশ্রমে ধন আনে,
পুণ্যে আনে সুখ।”

শ্রমের মূল্য ও মর্যাদা বুঝতে শিখেও এমন কিছু অপরিণামদর্শী মানুষ রয়েছে যারা অলস,শ্রম বিমুখ, অদৃষ্টবাদী।এই অলসতার কারণেই তারা জীবনের প্রত্যেক পদক্ষেপে ব্যার্থ।শিকার যেমন শিকারির কাছে নিজে থেকে আসেনা ঠিক সেভাবেই পরিশ্রম ছাড়া কখনও সাফল্য অর্জন করা যায়না।

অদৃষ্ট কারো হাতে সম্পদ তুলে দেয় না।সম্পদ হোক বা সাফল্য তা কখনও নিজের থেকে এসে উপস্থিত হয়না ,নিরলস পরিশ্রম আর সংগ্রাম করে অর্জন করতে হয়।এই চলমান বিশ্বে কর্ম শক্তিকে হাতিয়ার করে যতক্ষণ পা চলবে,ততক্ষণ প্রতি পদক্ষেপে ফুটবে ফুল।আর তা নাহলে ভাগ্যের দোষারোপ দুঃখে কষ্টেই দিন যাপন করতে হবে।

১৩।উপসংহার

শত শত শতাব্দীর পর বিশ শতকের পৃথিবীতে শ্রমজীবী মানুষের সামনে এক নবযুগ আসে । মেহনতি মানুষের মর্যাদা দিতে বাধ্য হয় সমাজের ওপরতলার মানুষ । সােভিয়েত ইউনিয়নে , চিনে , ভিয়েতনামে এবং আরাে অনেক দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় মেহনতি মানুষ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । বিজ্ঞানের কল্যাণে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রেক্ষাপটে সমাজে শ্রমের গুরুত্ব এখন অনেক স্বীকৃত । শ্রমশক্তিই যে সমাজ - সভ্যতার নির্মাণ ও সাফল্যের চাবিকাঠি , বিশ্ব আজ তা গভীরভাবে উপলদ্ধি করতে পেরেছে । উন্নত দেশগুলিতে শ্রমজীবী মানুষের বহু অধিকার ও মর্যাদা ক্রমেই স্বীকৃতি লাভ করছে । আমরাও যদি সবার শ্রমকেই সমান মর্যাদা দিই তবে দেশ ও জাতি দত অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে , যথার্থ কল্যাণ সাধিত হবে ।

আর ও পড়ুন...





Comments

  1. উপসংহারের শেষের লাইনে একটা ভুল আছে। দ্রুত হবে বানানতা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

রাষ্ট্র বিজ্ঞান কাকে বলে? || রাষ্ট্র বিজ্ঞান কী? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বলতে কি বুঝায়? || রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? (What is Political Science?)

চাঁদ শব্দের প্রতিশব্দ/ সমার্থক শব্দ কিকি?

GDP ও GNP কাকে বলে? || GDP ও GNP এর মধ্যে পার্থক্য কি?